পাতা:নরকাসুর.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনরকাসুর [ਣੈ পৃথিবী। যজ্ঞ পূর্ণ হ’লে৷ কৈ পুত্র ? তুমি কি একটী মুহুর্ভের জন্য ভাব নাই, ছত্ৰ কুণ্ডল নিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু এ ছত্র ধরূবে কে ? এ কুণ্ডল আমার কর্ণে পর্যাবে কে ? নরক । ভেবেছিলাম মা ! সিদ্ধান্ত করলাম, সে কাৰ্য্যের জন্য তোমার দাসানুদাস আমি আছি ; আমার মাতৃপূজা আমি নিজে করবো, । অন্যকে তার ভার দেবো ন',-দিলেও ঠিক হবে না । পৃথিবী । ভুল বুঝেছ পুত্ৰ ! ও কাৰ্য্য তোমার নয়, পূজা মাত্রেই যে ‘তার পুরোহিত চাই । নরক । এ পুরোহিতে কিন্তু আমার অহিতই হবে মা ! পৃথিবী। অহিত হবে কেমন ক’রে বুঝলে ? নরক । বুঝেছি মা ! যে দণ্ডে মহাপ্ৰাণ কাশ্যপ কম্পিতহস্তে আমার করে কুণ্ডল ছত্র দেন, আমি জিজ্ঞাসা করি,-“হােত কঁাপিছে কেন ব্ৰাহ্মণ ?” তার উত্তরে সেই বাকসিদ্ধ মহাপুরুষ ভগ্ন। অথচ গুরুগম্ভীরস্বরে বললেন—“শুধু হাত কঁপে নাই, ঐ দেখ রাজা ! সেই সঙ্গে তোমার মুকুট শুদ্ধ কঁপিছে ।’ আমি স্তব্ধ হলাম,-মুহূৰ্ত্তের জন্য অন্ধকার দেখলাম ! বাস্তবিকই মা ! শুধু মুকুট নয়, সেই তারস্বরের ঝঙ্কারে আমার মনে হ’লো, জগত শুদ্ধ আমার পায়ের নীচে থাৰু থৰ্ব ক’রে -কঁপিছে ! श्रृथिवैो । «-ङग्न ८°१gश्छ ? নরক । না মা ! ভয় কাকে বলে, তোমার পুত্র তা জানে না । তবে জিজ্ঞাসা করলে, বললাম সে দিনের ঘটনাটা-এই মাত্র। পৃথিবী। যাক, আর কাজ নাই। বিশ্বকৰ্ম্মাকে বিদায় দাও। ধর তোমার দেবমাতার কুণ্ডল ; এই নাও বরুণের ছত্র। যাদের জিনিষ ফিরিয়ে দিয়ে এস,-যাও । আর কথায় হোক-কান্নায় হোক-পায়ে ( &२२ )