পাতা:নরকাসুর.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরকাসুর [ তৃতীয় অঙ্ক পাত্তর, মন, মাথা, সব বিগৃড়ে ওঠে, বুঝেছ ? কেন এলে তুমি এ কাজের সময় ? নরক । দেখতে এলাম কাৰ্য্যের কতদূর ? বিশ্বকৰ্ম্ম । ও-পাহারা দিতে এসেছ! দেখতে এসেছ, বিশ্বকৰ্ম্মা কাজ করছে, না ফাকি দিচ্ছে ! ও তোমায় দেখতে হবে না, যাওনিশ্চিন্ত হ’য়ে ঘুমোওগে ; আমি কাজ সেরেই তোমায় জাগাবো । নরক । নিদ্রার সঙ্গে সম্বন্ধ আমি রাখি না বিশ্বকৰ্ম্মা ! তুমি আমায় আর কি জাগাবে ? আমি জেগেই আছি। তোমার ঘুম ভাঙ্গানোর অর্থ তো আমায় চৈতন্য দেওয়া ? আমি শ্ৰীচৈতন্ত নারায়ণের পুত্ৰ। বিশ্বকৰ্ম্ম । শ্ৰীচৈতন্য নারায়ণের পুত্ৰ তুমি নরক । নরক । তাতে বিস্ময়ের কি আছে বিশ্বকৰ্ম্মা ? নরক তোমাদের বন্দী ক’রে কৃতকৰ্ম্মের প্রায়শ্চিত্ত করাচ্ছে, অভিমানে আগুন দিয়ে চৈতন্যের বিকাশ ক’রে দিচ্ছে,-সে স্মৃষ্টির ঘুণ্য ? তার নারায়ণের পুত্ৰ হওয়া আশ্চৰ্য্য ? বিশ্বকৰ্ম্মা ! • ঈশ্বর যে সৰ্বরূপে প্ৰকটিত । ঘূণা, পূজা দুই নিয়েই তিনি ; আলোক অন্ধকার উভয় পাশ্বের মাঝখানে তিনি। মাতুস্তন্যে সুধারূপে তেঁার শক্তি, আবার ঔষধে বিষাক্কাপে তারই তেজঃ । ঘূণ্য আমি নই, ঘুণ তোমাদের হৃদয়ের ধৰ্ম্ম ; আর তারই পরিণাম এই । বিশ্বকৰ্ম্ম । মন্দ কি ! কৈ, আমি তো পরিণামের জালায় একমুহূৰ্ত্ত ছটফটু করি নাই ! অপরাধী ব’লে একটী বারের জন্য তো তোমায় পায়ের তলায় আছড়ে পড়ি নাই ? পরিণামের দেওয়া এ গাধার খাটুনি খাটুতে তো আমার বিন্দুমাত্ৰ আলস্য নাই । নরক ! তোমায় ঘূণা করার পরিণাম যদি এই হয়, এ যন্ত্রণা আমার শান্তি । ( s७8 )