পাতা:নরকাসুর.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষষ্ঠ গর্ভাঙ্ক ] নরকাসুর নরক । তা হ’লে এতক্ষণ আপনার মনে আকাশ-পাতাল ভাবছিলে "केि ? বিশ্বকৰ্ম্ম । ভাবছিলাম-তোমার পরিণাম কি ? নরক । আমার পরিণাম ভেবো না বিশ্বকৰ্ম্মা ! পাগল হ’য়ে যাবে। যব উৎপত্তি একটা মীমাংসাহীন তর্ক, তার পরিণতি অন্ধকার-অন্ধকার --সূচীভেদ্য অন্ধকার । বিশ্বকৰ্ম্ম বিশ্বকৰ্ম্মার সূক্ষ্মদৃষ্টি অন্ধকার ভেদ করতে জানে। নবক। জানে ? কি দেখলে ? বিশ্বকৰ্ম্ম । বলবো ? না-বলবো না-যাও । আমায় তো ভাগ্য ‘গণাতে আন নাই ! ন-না, শোন-শোন ; বলবো বই কি ! বলবার জন্য আমার প্রাণখানা ছট্‌ফট্‌ কবৃছে, আর চেপে রাখতে পাবুছি না । নর ক ! তোমার জীবনের সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো । ঐ দেখ, সেই অন্ধকারে খুব স্পষ্ট-খুব সত্য,-দেবমাতা অদিতি- যার কাণ হ’তে কুণ্ডল খুলে নিয়েছ, সে তোমার নাড়ীগুলো নিয়ে গলায় সাতনর দোলাচ্ছে । প্ৰচেতা বরুণ-যার মাথা হ’তে ছাতা কেড়ে নিয়েছে, সে ভীষণ তাতে গলদঘৰ্ম্ম হ’য়ে তোমার মাথার খুলিটা নিয়ে সমুদ্ৰ হ’তে জল তুলে সারা জীবনের পিপাসা মেটাচ্ছে। আর বিশ্বকৰ্ম্ম-সোঁ কি কবুছে জান ? ঐ দেখ-সে তোমার রক্তমজ্জায় মিশিয়ে গাঁথনির একটা নূতন মসলা তৈরী করছে। সাবধান-সাবধান-সাবধান ! নৱক । [ মুহুর্কের জন্য বিচলিত হইলেন, পরে আত্মসংবরণ করিয়া বলিলেন J কাকে সাবধান কাবুছে বিশ্বকৰ্ম্মা ? আমায় ? তোমাদের ভয়ে ? জেগে স্বপ্ন দেখছো তুমি ! অ’মি যার জন্য সাবধান হবো, তিনি আমার পিতা, আমার মৃত্যু-বাণ আমার হাতে। জগতের দ্রুফুটীতে উদ্যমহীন আমি নই। উপস্থিত তোমায় সাবধান করি, ওরূপ অন্যমনস্ক ( »७६ )