পাতা:নরকাসুর.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ গর্ভাস্ক ] নরকাসুর ; স্বর্গ। কিছু করতে হবে না। বাবা তোমায় এ মেয়ের জন্য ; তুমি শুদ্ধ একবার পিতার মত স্থির হয়ে দাড়াও, আমি কন্যার মত তোমার পূজা ক’রে যাই । বিশ্বকৰ্ম্ম । পূজা ! আমার পূজা ! আজিও কি বিশ্বকৰ্ম্মা জগতে পূজ্য ? এখনও কি ঋত্বিকগণ যজ্ঞকুণ্ডে আমায় আহুতি দেয় ? দেবতার পরিচয়পত্রে এখনও কি বিশ্বকৰ্ম্মার নাম উল্লেখ আছে ? নাই-নাই ! যদিও থাকে, পাতা ছিড়ে দাও । যাও, আমি আর ও পুজা নেবো না | আমার পূজা এখন অপমান-তিরস্কার-পদাঘাত ; আমি অতি চীনঅতি ক্ষুদ্র-অতি ঘূণ্য । স্বৰ্গ । তুমি যত হীন-যত ক্ষুদ্ৰ-যত ঘূণ্য, আমার কাছে তত পূজ্য-তত আদরের-তত ভক্তির । তুমি এ পৰ্য্যন্ত কন্যার পিতা হ’য়েই আসছে, পিতার কন্যা কখনও দেখা নাই ; তাই তোমার এ আত্মগ্লানি ! বন্দী হয়েছ, ক্ষতি কি ! আমি তোমায় মুক্তির পথ দেখাচ্ছি। দেবত্ব হারিয়েছ, দুঃখ কি ! স্বৰ্গ তোমায় পূজা কাবুছে { পরিশ্রম করতে হচ্ছে ? হ’লোই বা ! এস বাবা ! ব’সে এই আসনে । [ আসন বিছাইয়া দিলেন ] যমুনার মত শাস্ত প্রবাহে আমি তোমার পদ ধৌত করি, সন্ধার মত ধীর বাজনে সস্তপ্ত ললাটের স্বেদ মুছিয়ে দিই, সামবেদের মত সরসকণ্ঠে অতীত যুগের মহিমা শোনাই । বিশ্বকৰ্ম্ম । বসালে-বসালে ; আর আমায় দাড়িয়ে থাকতে । দিলে না। কে এ বালিকা ? যেই হোক, এর মুখখানা মায়ের মত, এর কথাগুলো শিশুর কাকলীর মত, এর দেহে জ্যোৎস্নার মত হাসি ছড়ানো। এর আগাগোড়া সবটা একটা দীর্ঘ অফুরস্ক শরীরী সুখ-স্বপ্নের মত। এ আমায় বসালে ! [ উপবেশন ] ( »७१ )