পাতা:নরকাসুর.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्छे १ाऊँश ] নরকাসুর বিশ্বকৰ্ম্ম । নরকের স্ত্রী ! নরকের স্ত্রী স্বৰ্গ । যাক-গঙ্গাজলে আমার সে সব ধোয়া গেছে ; তোর ঐ চন্দনের প্রলেপে মনের যা কিছু চাপা গেছে, ফুলের ঘায়ে বিশ্বকৰ্ম্মার বিষ-দাত ভাঙ্গা গেছে। বল মা, তুই কি চাস ? আমার বর অন্যথা হবে না । যাক আমার ইহকাল-থাকি আমি জীবনভোর দুৰ্গনিৰ্ম্মাণে ; তোর সিথির সিন্দূর, হাতের নোয়ার অক্ষয় কামনা করিস। স্বৰ্গ। কামনা নিয়ে তো আমি পূজা করি নাই বাবা ! পূজা করেছি। শুধু পূজার জন্য । সিঁথির সিন্দুর-হাতের নোয়া সে সব আমি এক ঘুমে অনেক দিন তারিয়ে ফেলেছি ; তার জন্য দুঃখও নাই । আমরা দৈত্যািললন-ওতো আমাদের ধূলা-খেলা, তার রক্ষার জন্য “আমরা দেবাচৰ্চনা করি না ; ববং কায়মানে বলি, আমার বীর স্বামী বীরন্দৰ্পে বিশ্ব-শাসন ক’রে বীর-শয্যায় শয়ন করুকু ! তোমায় উদ্বিগ্ন হ’তে হবে না। বাবা ! বিপদে পড়তে হবে না। আমি বর চাই না ; পূজা করতে এসেছিলাম, পূজা ক’রে চললাম ; সন্তুষ্ট হয়েছে, এই ঢের ! প্রতিদান নেওয়া আমার স্বভাব-বিরুদ্ধ ; সেবার পারিশ্রমিক আমার লজ্জা । তোমার কন্যা আমি-এই আমার २८२ है । [ প্ৰস্থান ) বিশ্বকৰ্ম্ম । বর নিলে না । দেবতা আমি, উপযাচক হ’য়ে বর দিতে গোলাম-নিলে না । নেবে না-নেবে না ! আমি তো বর দেবার যোগ্য নাই ! আমার কথা আজকাল পাগলের পাগলামি ! অপমান ! অপমান ! তপস্যা ক’রে বর চায় না, এও একটা বেশ শৃঙ্খলার ওপর অপমান। ভগবান! ভগবান! তোমার দেখানো অনেক রকমই দেখলুম। ( ১৩৯ )