পাতা:নরকাসুর.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরকাসুর [ उडी४ अक নির্বাণের প্রবেশ নিৰ্বাণ । কিছুতে কিছু সুখ পেলে না-না ? এখনও এক রকম - বাকী আছে, পার তো দেখি । বিশ্বকৰ্ম্ম । তুমি কে ? নিৰ্বাণ । আমি নিৰ্বাণ । বিশ্বকৰ্ম্ম । এইবার ত্র্যহস্পর্শ ; নরকের পাৰ্থে স্বৰ্গ, তার উপর নিৰ্বাণ ! দণ্ড হ’য়ে গেছে, পূজাও হ’য়ে গেল ; এইবার তুমি কি কবুতে চাও নিৰ্বাণ ? নিৰ্বাণ ! আমি কিছুই করতে চাই না। আমি ওসব দণ্ড পূজার কিছুতেই নাই। দণ্ডই বা দিই কাকে ? পূজাই বা করি। কার ? তুমিও যে-আমিও সে । তাই বলছিলাম—ভগবানের দেখানো তো অনেক রকমই দেখলে, কখনও ভগবানকে দেখেছে ? বিশ্বকৰ্ম্ম । তিলে—তিলে। সে একটা অত্যাচারের স্ত,প-অশ্রজলের সমুদ্র-দুঃখের অগ্নিকুণ্ড । নিৰ্বাণ। তোমার দেখা হয় নাই বিশ্বকৰ্ম্মা ! দুঃখ বলছে কাকে ? অত্যাচার কি রকম ? অশ্রু আবার কোনটা ? দুঃখই যে সুখের জন্মভূমি,-অত্যাচারই যে অভ্যর্থনার বীজ,-অশ্ৰ, হাস্য সে এক আকাশের রোদ জল। ভুল করেছি। বিশ্বকৰ্ম্মা ! ভগবানকে দেখার মত দেখা নাই । বিশ্বকৰ্ম্ম । খুব দেখেছি, চেয়ে চেয়ে চোেখ ঝলসে গেছে। তুমি আবার কি রকম দেখতে বলছে ? নির্বাণ। আমি বলছি-দুঃখের সমুদ্রকল্লোলে দেখ করুণাময় কারণরূপ,-সুখের পর্বত-শৃঙ্গে দেখা প্ৰেমময় কর্তৃরূপ,-পূর্ণিমার জ্যোৎস্নায় দেখ ( 88 )