পাতা:নরকাসুর.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরকাসুর [ তৃতীয় অঙ্ক পৃথিবী। ভূ-ভারহরণ ! তার জন্যই এই মহাসভার অধিবেশন ? কৈ-পৃথিবী তো সে জন্য ভূভারহারীর পদে কোন প্রার্থনা জানায় নাই ! শ্ৰীকৃষ্ণ । জানায় নাই, কখনও জানাতে হয় নাই ! তোমার দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গেই চিরদিনই তার আসন ট’লে আসছে,-সে। আপনা। হ’তে ছুটে যাচ্ছে । পৃথিবী । আজও কি সে আসন কম্পিত ? শ্ৰীকৃষ্ণ । তোমার ওষ্ঠ কম্পিত যে ! তোমার দৃষ্টি অস্থির যে ! তোমার ভঙ্গী আলুথালু-বিভীষিকাপূৰ্ণ যে ? তুমি আর সে পৃথিবী কৈ ? পৃথিবী। তা নইলে লোকে তোমায়ু অন্তৰ্য্যামী বলবে কেন ? আপন হ’তে এত দয়া না দেখালে তুমি দয়াময় কিসের ? মাৰ্জনা ক’রো দয়াময়! আমি বুঝতে পারি নাই । এইরূপ মনের কথা জেনে, এই দয়ার স্রোতে একদিন রামচন্দ্ৰ সীতাকে ভাসিয়ে ছিল ; অনেক দিনের কথা আজ আবার দপ দপ ক’রে মনে পড়ছে। এও ঠিক তাই ! শ্ৰীকৃষ্ণ । পৃথিবি ! পৃথিবী । ভয় দেখাচ্ছে কি পৃথিবীনাথ ! ভাগ্যের সঙ্গে যুদ্ধ ক’রে আমি ভীষণা ; দুঃখ আমার উপজীবিকা ; কান্নার সঙ্গে আমার চির-সখিত্ব । সত্য, ত্রেতা, দ্বাপরি, তিন যুগ ধ’রে উদভ্ৰান্ত ভ্রমণের পর যদিও আজ একটু দাড়াবার স্থান পেয়েছি-কপালের ঘাম মোছাবার, একটু অবসর পেয়েছি-পুত্রকে পুত্ৰ ব’লে আশীৰ্ব্বাদ কবুতে জীবনে এই একটা অশোক-ষষ্ঠ পেয়েছি, সঙ্গে সঙ্গেই জেনেছি-এ তোমার বুকে সইবে না-সইবে না-সইবে না। তার আর ভয় ( S8 b )