পাতা:নরকাসুর.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরকাসুর [ তৃতীয় অঙ্ক সভাতলে এসে দাড়িয়েছি। জিজ্ঞাসা করি, আমায় এ জগৎ ছাড়া অবৈধ সম্মতি দিতে হবে কেন ? শি কষ্ণ । তোমারই মঙ্গলের জন্য । পৃথিবী। আমারই মঙ্গলের জন্য ? অনুমতি কর মঙ্গলময় ! আবার আমি পাতালগর্ভে নেমে যাই, নূতন হিরণ্যাক্ষের সৃষ্টি হোক, আজীবন তার ক্রীতদাসী-ক্রীড়াপুত্তলিকা হ’য়ে পরমানন্দে কাল কটাই। শত কষ্টে ও মুখ বিকৃত করবো না, একটীবারের জন্য জগদীশ্বরকে ডাকবে। না ! উঃ-পুত্ৰকে কালের মুখে ধ’রে দিয়ে নিজের মঙ্গল ? শ্ৰীকৃষ্ণ । পুত্র কাকে বলছে দেবি ? পুত্র নয় শত্রু । ভেবে দেখ ধৰণি ! তোমার যে অংশে আদর্শচরিত্রা প্ৰাতঃস্মরণীয়া সীতার উদ্ভব হ’য়ে গেছে, সেই পবিত্র অংশে এই নরকাসুর ? পৃথিবী। তাতে আমার কি অপরাধ পৃথ্বীশ্বর। যে সমুদ্রে সুধার উৎপত্তি, সেই সমুদ্রেই তো আবার বিষ ও উঠেছিল ! তাতে সমুদ্রের কি দোষ, আর বিষেরই বা কি অপরাধ ? দোষ হ’য়ে থাকে, হয়েছে তার মন্থনকারীর কৰ্ম্মের । শ্ৰীকৃষ্ণ । যাও তবে বসুন্ধরা ! মন্থনকারী সে দোষের সংশোধন করবে। নিজের উৎপাদিত বিষ নিজে পান ক’রে জগৎ রক্ষা, এ পূর্বাপর হ’য়ে আসছে। পৃথিবী। তা হ’লে আর আমার সম্মতিরও অপেক্ষা নাই ? শ্ৰীকৃষ্ণ । সে বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকগে পৃথিবি ! ভগবদ্বাক্য রক্ষা কবুতে চেষ্টার ক্ৰটী হবে না। পৃথিবী। চেষ্টার দরকার নাই দয়াময়! অত কষ্ট স্বীকার আর তোমায় কাবুতে হবে না। বল, তুমি কি চাও ? ভাঙ্গুক্ আমার সুখস্বপ্ন-হোক জগতের কল্যাণ-থাক তোমার মুখোজ্জল । ( s.sv )