পাতা:নরকাসুর.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छुडौश्न ?ाéाक ] নরকাসুর সাধ্য নাই, কিন্তু তোমার এই ছলছল কাতর দৃষ্টি ছুটে এসে আমার হাত দুখানা জড়িয়ে ধরছে ; তোমার রুদ্ধ হৃদয়ের অব্যক্ত কাকুতি লৌহ-শৃঙ্খলের মত আমার গতিশক্তি রোধ করছে। বহু যুদ্ধে বিদায় নিতে এসেছি, তুমি আহিলাদে নানা অস্ত্ৰে সাজিয়ে দিয়েছ ; কৈ, এরূপ তো তোমায় কখনও দেখি নাই । সত্যভামা। সত্যই প্ৰভু ! আমি যেন আর সে সত্যভামা নাই । আমার সব ছাপিয়ে কোথাকার এক অজানা মাতৃত্ব ফুটে উঠছে। মনে হ’চ্ছে, এ যুদ্ধে আমার কি একটা ভয়ানক লোকসান হ’য়ে যাবে। তার আবছায়া দিনরাত আমার পিছু পিছু ঘুরছে ; আমি প্ৰতিক্ষণেই তার রাক্ষসী মূৰ্ত্তি চোখের উপর দেখছি। বল সর্বজ্ঞ ! এই নরকাসুর আমার কে ? শ্ৰীকৃষ্ণ । নরকাসুর তোমার যেই হোক, তার জন্য উদ্বিগ্ন হবার কিছু নাই দেবি । সে অপরাজেয়-অমর-অবধ্য। চিন্তা করতে হয়, চিন্তা করা আমার জন্য,-চেষ্টা কর রক্ষা কবুতে তোমার সিথির সিন্দুর ; স্বামী তোমার আজ কালের সম্মুখীন। আমি অসুরারি-শক্রিত্ন-চিরজয়ী, কিন্তু এরূপ প্ৰবল শত্রু আজ পৰ্য্যন্ত আমার চোখে পড়ে নাই । সত্যভামা । তবে প্ৰয়োজন কি নাথ ! এরূপ অনুচিত অসাধ্যসাধনে অগ্রসর হ’য়ে ? সে তো তোমার কোন অনিষ্ট করে নাই ! শ্ৰীকৃষ্ণ । তা করে নাই ; কিন্তু জান না কি সত্যভামা ! দেবতার অনাদর আমার দুর্ভাগ্য ; ব্ৰাহ্মণের অপমান আমার রাজা যক্ষ্মা ; রমণীর অশ্রু আমার জীবন্মত্যু। সে এই ব্ৰাহস্পর্শে পা দিয়েছে । আমি আর কিছুই নাই, শুদ্ধ এই তিনের শান্তির সমষ্টি। আর আমার নিৰ্ব্বিকার থাকুবার উপায় নাই। আমার আপাদমস্তকে অগ্নির জালা, ধমনীতে বিষের প্রবাহ, মুহুর্তের বিলম্বে সুদীর্ঘ যুগের অনুভূতি । অসাধ্য ( » G* )