পাতা:নরকাসুর.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ গর্ভাস্ক ] নরকাসুর আঁর্থ। যাই—যাই, তবে শুধু শুধু না গিয়ে এই কাল-সাপগুলোর বিষ-দাত ভেঙ্গে দিয়ে যেতে পাবৃতাম [ অর্কদের প্রতি ভ্ৰকুটী করিতে করিতে প্ৰস্থান] অৰ্ব্ব দ। তুমি আবার এখানে কেন মা ? স্বৰ্গ । আমি একবার ভিতরে যেতে চাই, বালিকার কঁাদছে কেন দেখবো । অৰ্ব্ব দ। বালিকাদের প্রতি তো কোন অত্যাচার হয় নি। মা ! তাহ’লে আমি এ স্বর্গের দ্বারপাল হ’য়ে থাকতাম না । স্বৰ্গ । তা আমি জানি ; আরও আমার স্বামী যাই হোন, তিনি প্ৰবৃত্তির আজ্ঞাধীন নন, তাতেও দেখছি একটা বেশ শৃঙ্খলা আছে। তাই আমি একবার জানতে চাই-এরা আমায় বিনা দোষে অভিশাপ দেয় কেন ? অৰ্ব্ব দ।। কৈ-এর তো তোমায় কোন অভিসম্পাত করে নি। মা ! স্বৰ্গ। আবার অভিসম্পাত কাকে বলে বৃদ্ধ । প্ৰত্যেক দীর্ঘশ্বাসে এরা আমায় মুহুমুহুঃ কঁাপিয়ে দিচ্ছে, এদের অশ্রুরেখা সাপ হ’য়ে দিন রাত আমার সামনে ফণা তুলে আছে ; এরা দিনান্তে যতবার কৃষ্ণ কৃষ্ণ ব’লে গগনভেদী আৰ্ত্তনাদ করছে, আমার তাতের নোয়াটা ঠিক ততবার ঝনঝনক’রে উঠে, যায়-যায়-আমি কোন মতে ধ’রে ফেলছি। অৰ্ব্বদ। যাবে না। মা ! তোমার হাতের নােয়া যাবার নয়। ধ্বংসের অন্ধকার-যবনিকার অন্তরাল হ’তে উকি মাৰ্বছে তোমার ঐ উজ্জল সিন্দুরের আভা ; সহস্ৰ অভিসম্পাতের মাঝখানে দাড়িয়ে তুমি অমর বরশালিনী মহামহিমময়ী মা ! যাও মা হাস্য-প্ৰতি মা ! কান্নার কণ্ঠরোধে ; ঐ সম্মুখে তার বেলাহত তরঙ্গ 1 । [ প্ৰস্থান । ( >७१ )