পাতা:নরকাসুর.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরকাসুর [ °ेक्षे ज्ञश् এখন আর ও ধিকি-ধিকির কৰ্ম্ম নয়। এমন জালায় জলতে হবে, যেন দয়া, শ্রদ্ধা, দেবত্ব, বিশ্বকৰ্ম্মার যা কিছু কোমলতা, সব পুড়ে ঝামা হ’য়ে যায় । ময় । ময় ! ময় । অবসর হ’চ্ছে গুরু, নরক-ধ্বংস ভিন্ন অন্য চিন্তার ? উঠতে পারছে গুরু, এ শুষ্ক অশ্রুহীন নিৰ্বাক আৰ্ত্তনাদ ছাপিয়ে মমতার সে প্ৰেম-সঙ্গীত ? শাস্তি পাচ্ছে গুরু, প্ৰতিহিংসার পাদোদক না খেয়ে স্বার্থপরায়ণ স্বর্গের পূজায় ? বিশ্বকৰ্ম্ম । এই যা ! সব জল হ’য়ে গেল । আবার ও নামটা তুললি কেন নিৰ্ব্বোধ ? কবুলি কি ! হিরণ্যকশিপুর লক্ষ্মীছাড়া পালা গাইতে গাইতে আবার ভক্তিগাথা সীতার বনবাস এনে ফেললি ? যাআমার যাওয়া হ’লে না, আর কোন কথা বলা হ’লে না ! এতে কি আর পা ওঠে, না-যত বড় পাষণ্ডই হোক, কারো মুখ ফোটে ? যায়। কাজ নাই। আর বলায়, প্রয়োজন নাই। আর তোমার গিয়ে । থােক, তুমি নিৰ্ব্বাক-নিশ্চল-শত্রুর মঙ্গলাকাজুকী ; কিন্তু জেনে! গুরু ! চির-মৌনব্ৰত অবলম্বন ক’রেও আর তাকে বাচিয়ে রাখতে পারবে না । এ দুর্গপ্রবেশের কৌশল আমি জানি ; যদিও তুমি দেখাও নাই, তবুও তোমার রূপায় তোমার কোন বিদ্যাই আমার অজানা নাই । তবে এত ক্ষণ যে তোমার কাছে কঁদিতে এসেছিলাম, সে শুদ্ধ তোমারই অসম্মানের ভয়ে । কিন্তু আর উপায় নাই । তোমার জন্য সমগ্ৰ যদুবংশটাকে মৃত্যুর মুখে এনে ধরেছি।-ভুলে যাবো তোমার দেওয়া যত বিদ্যা,-আজি অন্ততঃ তাদের বঁাচাতে হবে । আসি তবে গুরু ! বড় হতভাগ্য আমি, যাবার সময় তোমায় একটা প্ৰণাম পৰ্য্যন্ত করবার অধিকার আমার রইলো না। [ প্ৰস্থান ।