পাতা:নরকাসুর.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম গর্ভাস্ক ] নরকাসুর বল আমি কে ? [ পরে আত্মসম্বরণ করিয়া বলিলেন ] ন-আমি দৈত্য । অামি আবার কে ? যেই হই আমি, পদদলিত-বিতাড়িত-পতিত ! আমায় এই দৈত্যজাতি আশ্রয় দিয়েছে, আমার জন্যই এই উদার জাতির অস্তিত্ব পৰ্য্যন্ত আজ বিলুপ্তপ্রায়, ঐ সেই দৈত্যকুমারী আমার সঙ্গে প্ৰাণ দিতে এই শ্মশানে ; আমি দৈত্য । যাই হই আমি, আজ আমার প্রতি রক্তবিন্দু এই নিৰ্ভীক দৈত্যময়। ভুলে যাও সে সব কথা ; বল, তুমি কি চাও ? শ্ৰীকৃষ্ণ । জানি না। আমি কি চাই ? আমি চাই জগতের সাম্য ! নরক । স্তোক বাক্য ! বৈষম্য ব্যতীত সৃষ্টি চলতে পারে না। তুমি কি চাও, বলবো। আমি ? শ্ৰীকৃষ্ণ । কি চাই ? নরক । তুমি চাও জগতে তোমাকেই একমাত্র ‘সুন্দর, চমৎকার Q研々に守 | শ্ৰীকৃষ্ণ। নরক ! তুমি আমার পুত্ৰ ! নরক । চুপ কর-চুপ কর। এটা রণস্থল ; এ কথা শুনলে এখনই এর বুকখানায় পাতালভোর একটা প্ৰকাণ্ড গহবর হয়ে যাবেমড়াগুলো হো-হে ক’রে হেসে উঠবে-আকাশের ঐ সুৰ্য্যটা দু-খানা হ’য়ে বন-বন ক’রে ঘুরুতে ঘুবৃতে আমাদের দু-জনের মাথায় আছড়ে পড়বে ; চুপ কর। কে আমার পিতা ? আমার পিতা নাই, আমি মায়ের ছেলে। যদিও পিতা থাকে, সে অন্ধ-পঙ্গু-জড়পিণ্ড একটা কিছু ! আমার পিতা বৰ্ত্তমান-সক্ষম, আর তার পুত্ৰ আমি হতভাগ্যের মত অনাথিনী মায়ের হাত ধ’রে দ্বারে দ্বারে হা-হা৷ ক’রে বেড়াই ? জগতের ধিক্কত হ’য়ে অন্ধকারে মুখ লুকিয়ে আপনার সঙ্গে কামড়া কামড়ি ক’রে সারা জীৰনটা কাটিয়ে মারি ? আমার যদি তোমার মত মুখে সন্তুনা দেবারও মত একজন আত্মীয় আজ থাকতো, 8 ( R o D )