পাতা:নরকাসুর.pdf/২১৯

নরকাসুর [ পঞ্চম অঙ্ক শ্ৰীকৃষ্ণ । নির্বাণ ! আমি তোমায় অভিয়েক করি-জগতের উচ্চাসনে চির-অধিষ্ঠিত থাকে । আর বিশ্বকৰ্ম্মা ! তোমার কোন প্রার্থনা। আছে ? বিশ্বকৰ্ম্ম । আবার প্রার্থনা ? এক প্রার্থনায় আমার নরক-যন্ত্রণা ; আবার ! শ্ৰীকৃষ্ণ । তোমার কন্যা চতুর্দশীর সম্বন্ধে ? চতুৰ্দশী প্ৰবেশ করিল চতুর্দশী । কিছু না ; প্রার্থনার অবস্থা আর তার নাই ! দেখ, সে এখন কৃষ্ণভক্তির তরঙ্গ-ভগবদ্ভবের পূর্ণ জোয়ার-বিশ্বপ্রেমের বিজয়-বৈজয়ন্তী ; লালসার স্থান আর সেখানে নাই । তার জন্য আবার প্রার্থনা কি ? তার আবার বিবাহ কিসের ? চির-কৌমাৰ্য্যই তার উজ্জল সিন্দুর, বিরহই তার মিলনের মহা সমারোহ, তোমায় না পাওয়ার আনন্দেই সে পূর্ণানন্দ শিবময়ী কৃষ্ণ চতুর্দশী । ਜ শ্ৰীকৃষ্ণ । বিশ্বকৰ্ম্মা ! তুমি নির্বাণের হাত ছেড়ে দাও । কৰ্ম্মময় তোমার জীবন, আমার কৰ্ম্মমূৰ্ত্তি তুমি । যাও তুমি দ্বারকাপুৰী নিৰ্ম্মাণে । অন্য বিষয়ে তোমায় উপদেশ দেবার কিছু নাই, মাত্র অন্তঃপুরে ষোল হাজার আটটীি প্রকোষ্ঠ নিৰ্ম্মাণ করবে ; তু দপযুক্ত সমুদ্ধি-সম্ভার। বিশ্বকৰ্ম্ম । অষ্ট মহিষীর ষোল হাজার অ্যাট প্রকোষ্ঠ ? শ্ৰীকৃষ্ণ । না বিশ্বকৰ্ম্মা ! আমার এই অষ্ট মহিষী ছাড়া নরক যে এই ষোল হাজার কুমারী এনে মণিপৰ্ব্বতে রেখেছে, তারাও সবাই আমার বাকদত্ত পত্নী । [ বিশ্বকৰ্ম্ম নীরবে শ্ৰীকৃষ্ণের মুখপানে চাহিয়া রছিলেন ।] ( Sb. )