পাতা:নরকাসুর.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম গর্ভাঙ্ক ] নরকাসুর শ্ৰীকৃষ্ণ। স্মরণ হ’চ্ছে না তোমার ? ত্রেতায় আমার রাম অবতারে রাবণযুদ্ধে যেদিন মেঘনাদ আমার সমক্ষে মায়া সীতা বধ ক'রে, আমি শোকাকুল-ক্ষিপ্ত হ’য়ে উঠি, মিত্র বিভীষণ আমায়ু সাত্মা দেবার চেষ্টা করেন ; বলেন-প্রকৃত সীতা ইনি নন, মেঘনাদ অগ্নির সাধনা ক’রে এই মায়া-সীতা লাভ করেছে । আমি বিশ্বাস করি না । এক জনের সঙ্গে আর এক জনের সাদৃশ্য অসম্ভব ! তন্মুহূৰ্ত্তে দেখি অগ্নিদেব স্বয়ং আমার সম্মুখে মুৰ্ত্তিমান ; তঁর সঙ্গে একটা আধটা নয়, এককালে ষোড়শ সহস্ৰ সীতা-মূৰ্ত্তি। আমার ভ্রম দূর হ’লো ; আমি বিস্ময়ে নিৰ্বাক ! তখন সেই ষোল হাজার সীত-মূৰ্ত্তি করযোড়ে আমায় জিজ্ঞাসা করে-প্রভুর জন্যই আমাদের সৃষ্টি, এখন আমাদের গতি কি ? আমি তাদের সাস্তুনা দিই-এ জন্মে। আমি দ্বিতীয় দারপরিগ্রহ করবো না, তোমরা রাজগৃহে জন্মগ্রহণ করগে, দ্বাপরে কৃষ্ণ-অবতারে তোমাদের প্রার্থনা পুর্ণ করবো। সেই ষোড়শ সহস্ৰ সীতা মূৰ্ত্তি নরকের আনীত এই কুমারীগণ ! মনে পড়েছে ? যাও ; সত্যভামা ! দারুককে রথ। আনতে বল ; আর তুমি নিজে গিয়ে দেবমাতার কুণ্ডল দিয়ে এস। দাদা ! আপনি বরুণকে আহবান ক’রে তার ছত্ৰ প্ৰত}পণ করুন ; আর পৃথিবি ! তোমার বুকে রইলো নির্বাণ । [ নিৰ্ব্বাণকে পৃথিবীর -বিক্ষে দিলেন । [ সকলেবু প্ৰস্থান ।