এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরকাসুর [ দ্বিতীয় অঙ্ক পৃথিবী । এই কথা ? পাগল ছেলে ! এর জন্য এত সঙ্কোচ ? এত খানি ভূমিকা ? এত বড় ভুল ? নরক । না জননি, জানি না তুমি ! পুত্ৰজন্ম গ্ৰহণ ক’রে পিতার নির্ণয় না পাওয়া যে কি যন্ত্রণার, আর তার মীমাংসার জন্য গর্ভধারিণীর সামনে দাড়িয়ে নিলজের মত মুক্ত কণ্ঠ হওয়া যে কি বিপদের, সে অনুমান তুমি করতে পারবে না। মা ! আজি আমি জ্ঞানহীন, বিবেচনা-বৰ্জিত, মাতা-পুত্ৰ সঙ্গন্ধ হ’তে দূরে। বল মা ! আমার পিতা কে ? পৃথিবী । বলছি ; কিন্তু এতদিনের পর আজ সহসা এর জন্য এত অস্থির হ’য়ে উঠলে কেন বৎস ? নরক । হৃদয়ের রু - আবেগ আর স্তোক দিয়ে চেপে রাখতে পাবুলাম না মা ! আপনাকে আপনার কাছে জীবনভোর চোর ক’রে রাখা, সে কি কম কথা ? আর তা পারা গেল না মা ! পৃথিবী। চোর -রুদ্ধ আবেগ ! এ সব তুমি কি বলছে পুত্ৰ ऐन्डव्र भड ? নরক । সত্যই আমি উন্মত্ত মা ! জগৎ যেন প্ৰতি মুহূৰ্ত্তে আমার মনশ্চক্ষে ব্যভিচারের দর্পণ ধ’রে বিকৃতভাবে নাচিয়ে তুলছে-বায়ু যেন আমার অঙ্গ স্পর্শ ক’রে অপবিত্ৰ হ’য়ে শিউরে উঠছে-প্ৰকৃতি প্ৰত্যহ আমার মুখ দেখে মহা ভাবনায় দিনে দিনে শুকিয়ে যাচ্ছে । অতি ঘূণ্য যে মৃত্যু-জন্ম শৃঙ্খলার কোন ধার ধারে না, সেও যেন আজ জারজ ব’লে অট্ট-উপহাস ক’রে আম হ’তে বহুদূরে স’রে দাড়াচ্ছে। বল মা ! বল, মা ! আমার পিতা কে ? সত্যই কি আমি জারজ ? পৃথিবী। যদি তাই হও, তা হ’লে কি কবুবে ? নরক । কবুবো না কিছু ; তা হ’লেও শুনতে পেলে অনেকটা নিশ্চিন্ত হ’তে পারবো। মনের সঙ্গে অবিরাম দ্বন্দ্বযুদ্ধের হাত হ’তে নিস্কৃতি । ( રr )