এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরকাসুর * [ দ্বিতীয় অঙ্ক ক্ৰন্দন লক্ষে্যুর, জগতের সমস্ত ভোগৈশ্বৰ্য্যের মধ্যে অংশঙ্গাত শিশুর হাসি শ্ৰেষ্ঠ ; আপনার সর্বস্ব হ’তে পুত্রের জীবন পিতার কাছে অধিকতর মূল্যবান। ভাবছো কি ভ্ৰকুঞ্চিত ক’রে ? বুঝতে পারবে না। এ তত্ত্ব তুমি দানবকুমারি ! যাও । স্বৰ্গ। বুঝতে না পারি, সেটা আমার বুদ্ধির দোষ ; কিন্তু দানব বংশটাকে এতটা হীন ভেবো না । এই দানব-জাতি সৃষ্টির প্রারম্ভ হ’তে আজ পৰ্য্যন্ত দেবতার সঙ্গে সমানভাবে দাড়িয়ে আসছে। ঐশ্বৰ্য্যে, বীৰ্য্যে, জ্ঞানে, ধৰ্ম্মে জগতের সমস্ত জাতির সঙ্গে তুল্য ওজন দিয়ে আসছে। এই উদার জাতি দেব, নাগ, গন্ধৰ্ব্ব, যক্ষ, সমস্ত জাতির পরিত্যক্ত নিরাশ্রয় তুমি, তোমায়ু আদর ক’রে মাথার উপর জায়গা দিয়ে রেখেছে। } নরক । ভাল করে নাই।--ভাল করে নাই ! এ হ’তে আমি চির নিরাশ্রয় থাকলে খোলা হওয়ায় সরলভাবে নিঃশ্বাস ফেলে বাচ তাম ! আগুনকে সমুদ্রগর্ভে আশ্রয় দেওয়া, শুদ্ধ তাকে বাড়বা ক’রে আপ্ৰলয় iBDDDDD BDD OLOBDBB BD S স্বৰ্গ ৷ জানি স্বামি, এ আশ্রয় দানের প্রতিদানে তুমি বিন্দুমাত্র কৃতজ্ঞতা পোষণ কর না। দৈত্য-সিংহাসনে উপবেশন ক’রে তুমি আদৌ সুখী হ’তে পার নাই ; এ সহবাস তুমি অন্তরের সহিত ঘূণা কর । যাক, যা হবার হ’য়ে গেছে, এখন আর সে ভুল ভাবা বৃথা । তবে একটা অনুরোধ-এই গুমড়েপোড়া হৃদয় নিয়ে যে কটা দিন সংসারে থাকি, স্বামীর মত মুখেও আমার মিনতি রাখি, আমায় স্ত্রী হ’য়ে তোমার কল্যাণকামনা করতে দাও। নরক । তার চেয়ে মাত হ’য়ে পুত্রের কল্যাণ কামনা করগে রাণি ! আজ তুমি পুত্ৰবতী ; তাতে শান্তি পাবে। রমণী জন্মের মুখ্য উদ্দেশ্য ( ७8 )