এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরকাসুর [ দ্বিতীয় অঙ্ক পৃথিবী। দণ্ডে দণ্ডে দম আটকে যাবার উপক্ৰম হ’চ্ছো! নরক । মা ! পৃথিবী। একটা স্মৃতি বড় দপদপ ক’রে জ'লে উঠছে বাবা ! অস্ত্ৰখানা দিয়ে যেমনি তিনি অভয় দিয়েছিলেন, তেমনি আবার ব’লে ও রেখেছেন, যদি তুমি দেব-দ্বিজ উৎপীড়ক হও, রমণীর চােখে জল ফেল, তা হ’লে- মুহূৰ্ত্তে আত্মসম্বরণ করিয়া বলিলেন ] না বাবা ! কাজ নাই আর কারো সঙ্গে কলহ ক’রে ; যে যা বলে বলুক, তাতে আমার দুঃখ নাই ; আমি সুখী, শুদ্ধ তোমার মা হ’য়ে থাকতে পেলেই । নরক । তুমি তো আমার মা হ’য়ে পরম সুখে থাকবে মা ! কিন্তু আমি তোমার পুত্ৰ হ’য়ে কোন মুখে কাল কাটাবো ? যে পুত্ৰ মাতৃনিন্দায় বধির, জননীর সজল দৃষ্টিতে জন্মান্ধ, মায়ের গুপ্ত দীর্ঘশ্বাসে স্থিৰ, কাজ কি তার নিদ্ৰিতের মত শুদ্ধ বেঁচে থেকে মায়ের নেত্ৰাতৃপ্তিসাধন করায়? দাও মা তোমার পদধূলি ; মাতৃ-অপমানের প্রতিশোধ নিতে মাতৃ-আদেশ অমান্য করুলাম। আমি জীবনে পিতা চিনি না, আজন্ম মায়ের মুখই দেখে আসছি। আশীৰ্বাদ কর, যেন সেই মুখ সৃষ্টি-দৰ্পণে উজ্জল-নিষ্কলঙ্ক-সুন্দর দেখাতে পারি। [ প্ৰস্থান । পৃথিবী। ধন্য তুমি পুত্ৰ ! শুভক্ষণে হিরণ্যাক্ষ আমায় পাতালে নিয়ে গিয়েছিল । গৰ্বিবতা আমি, তোমার গর্ভধারিণী । [ কিয়ৎক্ষণ চিন্তা করিয়া বলিলেন ] কিন্তু জানি না। এর পরিণাম কি ! প্ৰতি মুহূৰ্ত্তে সেই ভীষণ সাবধান করা সঙ্কেত স্মরণ হয়। তবে একটা ভরসা, আমার সম্মতি চাই। সত্য-সনাতন তিনি! দৃঢ় হও হৃদয়, নিশ্চিন্ত হও পুত্রের আশঙ্কায়, হ’য়ে যাক এর প্রতিশোধ ! [ zन ] ( ৩৬ )