এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় গর্ভাঙ্ক ] নরকাসুর তীর্থের প্রবেশ তীর্থ। কি মা ? কি মা ? স্বর্গ। বাকী তুমি! তীর্থ। কিসের বাকী মা ? স্বৰ্গ । জগতের এই ঘনায়মান অন্ধকারে আমার আশার শেষ দীপটী নিবিয়ে দেবার ; এই পরময় সংসারে সুযোগমত স’রে দাড়াবার। তীর্থ। কেন মা, কি হয়েছে ? কে তোকে কি বলেছে ? স্বর্গ। কেউ কিছু বলে নি! তুমি পারবে না; যাও-কোথা যাচ্ছিলে ? তীর্থ। এই তোর কাছেই আসছিলুম-যাবো। আর কোথা ? হঁ। মা ! কেউ কিছু বলে নি যদি, তবে তোর মুখখানা লাল কেন ? নিঃশ্বাসটা দমে দমে পড়ছে কেন ? চোখ দুটো ছল ছল কাবুছে কেন ? না মা ! শুধু আজি ব’লে নয়, আমি অনেক দিন হ’তে দেখে আসছি, তুই আপনার মনে দিন রাত কি ভাবিস, বাতাসের শব্দে বাজ পড়ার মত শিউরে উঠিস ; সংসারে এত সুখ, তুই যেন তার মধ্যে নাই। বল মা, কিসের ডাবনা তোর ? কেন তুই এমন হ’লি ? স্বৰ্গ। কই, কিছুই তো হই নি তীৰ্থ! তীর্থ। কিছুই হোস নাই ? তোর সে রূপ কই ? কথায় কথায় সে হাসি কোথা গেল ? দণ্ডে দণ্ডে সে খাওয়া কি হ’লে ? বলবি তো বল, নইলে এই আমি তোর পায়ের তলায় মাথা ঠুকে মরবো। স্বর্গ। বলবো বই কি তীৰ্থ! তোমাকে না বললে আর বলছি কাকে ? আমার মা নাই-বাপ নাই-আপনার বলতে কেউ নাই, একমাত্ৰ তুমি আছ ব’লেই এখনও আমার নিঃশ্বাস প্রশ্বাস চলছে ; নইলে এতদিন দম আটকে যেতো । মনে করেছিলাম, আর এ বোঝা তোমায় ( s.4 )