এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় গর্ভাঙ্ক ] নরকাসুর স্বৰ্গ । [ হাত ধরিয়া 1 কার কাছে যাবে তীৰ্থ ? তিনি কে জান ? তীর্থ। যেই হোক, তোকে যে এতটুকু মুখ বাকাবে, সে বাবা হ’লেও তার সঙ্গে আমার খুনোখুনি হবে । ছেড়ে দে আমায়, আজি এর একটা হেস্তনেস্ত ক’রে ছাড়বো । স্বৰ্গ। না তীৰ্থ! কিছু করতে হবে না। তিনি আমায় কন্যা হ’তেও স্নেহ করেন । তঁদের কারো কোন অপরাধ নাই । অপরাধ আমার অদৃষ্ট্রর! বুক গেল নিজেরই ছুরিতে ! কঁদিয়ে দিয়েছে আমারই পেটের ছেলে ! «X তীর্থ। বটে,-তা হবে! সে পাজি আজকাল ঐ রকম বিগড়ে গেছে বটে ! আমাকেও কথায় কথায় চোেখ ঘুরিয়ে আসে। কিছু বলি না। ব’লে নাই পেয়ে গেছে । তা এর জন্যে তোর কান্না কেন মা ? আমি এখনই গুরুমশাইয়ের কাছে সাবো, ব’লে আসবে-এ দিককার যত হোক না হোক, বেশ ক’রে শাসন করতে-পঞ্চাশ চাবুক গুণে লাগাতে, আর হাতে পাষাণ চাপিয়ে নাড় খাওয়াতে ; ব্যাস সোজা হ’য়ে যাবে। আয় মা, আমি তোর জন্যে কতকগুলো ছবি কিনে এনেছি, দেখবি আয়, কোনটা তোর পচ্ছন্দ ! [ প্ৰস্থান } স্বৰ্গ। হায় সরল হৃদয় আনন্দময় চিরসুখি ! তুমি আমায় সেই ছেলে-ভোলানো ছবি দেখিয়ে আজও ভুলিয়ে রাখতে চাও ? আমি যে এখন সংসারের রঙ্গিন ছবি দেখছি! হাসছি-কঁদেছি-দণ্ডে দণ্ডে শিউরে উঠছি ! পরমেশ্বর ! ধন্য তুমি ! আমার সব কেড়ে নিয়েছ, কিন্তু আমার সব না থাকার ক্ষতিপূরণ ক’রে অফুরন্ত এই একটা জিনিষ দিয়েছ,-তুমি চমৎকার! [ প্ৰস্থান ।