এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরকাসুর [ দ্বিতীয় অঙ্ক চতুৰ্দশী । [ স্বাগত ] না। তবু বিয়ে হবে না ! হোক না সে কালো সোনা-হোক না সে সকল রূপের সার-হোক না তার রসের সাগরে সমস্ত সৃষ্টি ডুবুডুবু, তার যে একটা মস্ত দোষ মেয়ে মানুষ কঁাদানো ! আমি রামায়ণ পড়েছি।-রাধাকে ও দেখেছি, বুঝে নিয়েছি সে শুদ্ধ ভাববারভোগ করুবার নয়। না, আমি কঁদিতে পাৰ্ববো না। বিশ্বকৰ্ম্ম । কি দূত। দ’মে গেলে যে ! কথা ক’চ্ছ না ? মঃ দূত। তুমি এক কাজ কর ; আমার সঙ্গে মথুৱা চল, আমার প্রভুর কাছেই এর সদুত্তর পাবে। তঁাকে সন্তুষ্ট করতে পাবুলে তঁার অদেয় কিছুই নাই। বিশ্বকৰ্ম্ম । চল, তাতে রাজি আছি। তবে কথা না মিটিয়ে কিন্তু কাজে লাগছি না ! থাক বেটী দিন কতক এইখানে ; ময় রইলো-কোন ভাবনা নাই। তোর বিয়ের যোগাড় না ক’রে আর ফিরছি না। স্বীকার করতেই হবে ; বিশ্বকৰ্ম্মা ছাড়া কারো সাধ্য নাই যে এ কাজে হাত দেয় । চল দূত ! [ গমনোস্থ্যত ] দৈত্যদূতের প্রবেশ । দৈত্যদূত। তুমি বিশ্বকৰ্ম্মা ? বিশ্বকৰ্ম্ম। কি বিপদ ! যা-যাত্ৰাট ভঙ্গ ক’রে দিলে! হা, আমি বিশ্বকৰ্ম্ম । তুমি কে ? দৈত্যদূত। আমি দৈত্যেশ্বর নরকাসুরের দূত । বিশ্বকৰ্ম্ম। নরকের দূত ! নারায়ণ! নারায়ণ! এখানে কি দরকার ? চতুর্দশী । বােধ হয়। বাবাকে চাই-কোেন কিছু তৈরী করতে হবে, ? ( ه به )