এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরকাসুর [ সুচনাস্ক নেবে না ? আমায় জীবনে কখনও পুত্ৰশোক পেতে হবে না ? আমার পুত্র অমর হবে ? নারায়ণ । অমর না হোক, অজেয় হবে । ধরা পৃথিবি ! তোমার পুত্রের কল্যাণের জন্য আমার দেওয়া শক্তি-অস্ত্র ; এক আমি ভিন্ন ত্ৰিলোকের কেউ এর দমন কবুতে সমর্থ হবে না। [ শক্তি-অস্ত্ৰ দান ] পৃথিবী । [ অস্ত্র গ্রহণে বিস্ময়-বিস্ফারিত নয়নে নারায়ণের দিকে চাহিয়া বলিলেন ] তুমি ভিন্ন ? তুমি কি পিতা হ’য়ে পুত্রেরা নারায়ণ। বিচার ক’রে কথা কও দেবি ! শুধু স্বার্থের দিকে তাকিও না । তোমার পুত্ৰ যদি কখনও মোহের বশবৰ্ত্তী হ’য়ে দেব-ব্ৰিজউৎপীড়ক হয়, রমণীর চোখের জলে স্নান করে, তখন কি আর আমি পুত্রের মমতায় ভেসে থাকৃতে পারি? আমি যে জগতের সুবিচারসৃষ্টির অভিমান-অনাথের আবেদন । সে সময় আমায় ফুটতে হবে ঠিক সমদৰ্শী সুৰ্য্যের মত বিশ্বের পানে সমান চক্ষে চাইবার জন্য। পৃথিবী । [ মুখ নত করিলেন ] নারায়ণ ।। ওকি ! মুখ নামালে যে ? অস্ত্ৰখানা নিয়ে নাড়াচাড়া কবুছে কেন ? বেশ তুষ্ট হ’তে পাবুলে না,-না ? পৃথিবী । কি ক’রে হই নাথ ? দেহ যে দুৰ্ব্বদ্ধির আকার, মন ষে ইন্দ্ৰিয়ের অনুচর, সংসার যে বন্ধুর, পদস্থলনেরই জায়গা । পথিকের পথভুল কি বিচিত্ৰ ? নারায়ণ। আচ্ছা, আমি তোমার কাছে শপথ কবুছি, যখন যা করবো, তোমার অনুমতি নিয়ে। যতই অত্যাচারী হোক, তোমার বিনা সম্মতিতে তোমার পুত্রের কেশাগ্ৰ স্পর্শ করবো না। নিশ্চিন্ত তো ? পৃথিবী। [ তুষ্টির হাসি হাসিলেন ।] নারায়ণ। যাক, তুমি আর কিছু চাও ? ( 8 )