এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরকাসুর [ দ্বিতীয় অঙ্ক শিশিরায়ণ। প্ৰত্যেক দীর্ঘশ্বাসে এদের হৃদপিণ্ড ছিন্ন হ’য়ে বেরিয়ে আসছে, প্রত্যেক অশ্রুবিন্দুতে এরা কোটী বিশ্ব গলিয়ে দিচ্ছে! এদের যুগান্তকারী করুণ সঙ্গীতের প্রত্যেক বৰ্ণ তীক্ষ্মী-শাণিত-অব্যৰ্থ। না-আমি পরাস্ত হবে না । পৰ্ব্বতের মত দৃঢ় হ’য়ে দাড়াবো, প্ৰাণ দিয়ে, ধৰ্ম্ম দিয়ে, ন্যায়-অন্যায়ু দূরে দিয়ে রাজ-আদেশ পালন করবো । কুমারীগণ - পূর্ব গীতাংশ দেখ, ললাটের লেখা মুছিতে পারিনি করেছি। কতই রক্তপাত, জীবনের নেশা ছাড়িবার নয়, হোক না যতই মৰ্ম্মাঘাত, এখনও জগতে তাই গো আমরা, দি ও না মোদের ধৰ্ম্মে হাত, বৰ্ম্মের মত করুণায় ঢেকে রাখিবে তোমারে শ্ৰীভগবান। শিশিরায়ণ। ভগবান! ভগবান! ব’লে দাও কি কৰ্ত্তব্য আমার ? রাজ-আদেশ পালন-না রমণীর অশ্রািজল নিবারণ ? কৰ্ত্তব্যের ব্ৰতউদযাপন-না। ন্যায়েব বিগ্ৰহ প্ৰতিষ্ঠা ? বিশ্বাসঘাতকতা-না আত্মবলি ? বিশ্বাবসু উপস্থিত হইলেন বিশ্বাবলু। সেনাপতি ! সেনাপতি ! আমি পরাজিত-আমি দুৰ্বলআমি তোমাদের অনেক নীচে, তবু আমি গন্ধৰ্বরাজ বিশ্বাবসু ; আমি কি তোমাদের কাছে একটা ভিক্ষা কবুবার ও পাত্ৰ নাই ? সেনাপতি ! ভিক্ষা ! আমার রাজ্য নাও-অামায় হত্যা কর, আমার মা সকলকে মুক্তি দাও। দেখ সেনাপতি ! এদের মধ্যে কেউ ধৰ্ম্মরক্ষার জন্য। জলে ঝাপিয়ে পড়েছিল, তোমার সৈত্যুেরা সেখান হ’তে তুলে এনেছে,-“এখনও সিক্তবস্ত্ৰ! কেউ কপালে ঘা মেরে মরুতে যাচ্ছিলো, তার হাত বেঁধে ( ༠ )