এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরকাসুর [ দ্বিতীয় অঙ্ক নরক । সে কি বিশ্বকৰ্ম্মা ! অ’মি যে সমাজের পতিত-পৃথিবীর আবৰ্জনা-জন্মের বিদ্রুপ ! আমাকে কন্যাদান ! এই এক মুহুর্তে তোমার সে তেজোদর্প কোথায় গেল বিশ্বকৰ্ম্মা ? বিশ্বকৰ্ম্মা। অপত্যস্নেহের অতল গর্ভে। তুমি কি মনে করেছি রাজা, বিশ্বকৰ্ম্মার তেজোদপ গেছে, সে বন্দী হয়েছে ব’লে ? তোমার চোখ দুটো দিয়ে মুহুমুহুঃ আগুনের হালকা ছুটুছে ব’লে ? তা যদি ভেবে থাক, আমি এখনও বুক ফুলিয়ে তোমার মুখের সামনে । বলছি, তুমি সমাজের পতিত-পৃথিবীর আবর্জনা-জন্মের বিদ্রুপ ! আমি তোমায় কন্যাদান কবুছি কেন জান ? কন্যার মায়ায়-মেয়েটার শুকনো মুখ দেখে- ডবাড়বে চোখ হ’তে তার প্রাণের কথা পেয়ে । জান, লুম, সে জন্মাবধি তোমাকেই চায়। নরক । এতদিন তা জান নাই ? বিশ্বকৰ্ম্ম । জেনেও জানি নাই ! আমি একটা আমোদের ঘোরে। মেতে ছিলাম রাজা ! ভগবান কৃষ্ণচন্দ্ৰকে জামাত কবুধার জন্য ক্ষেপেছিলাম। এখন বুঝলাম-আমার সে সাধ বৃথা। লতা একবার যাতে জড়াবে, সে কঁাটার বেড়া হ’লেও সেখান হ’তে টেনে তাকে চন্দনগাছেও তোলা যায় না। চতুর্দশী ! মা ! চতুৰ্দশী। বাবা ! বিশ্বকৰ্ম্মা ! মা ! [ কণ্ঠস্বর রুদ্ধ প্ৰায় ] অসুরকে প্ৰণাম কর । [ মুখ ফিরাইলেন ] চতুৰ্দশী। তবে তুমি. মুখ ফেরােচ্ছ কেন বাবা ? আমি প্ৰণাম করি, তুমি দেখ। বিশ্বকৰ্ম্মী। ওহো-হো! কবুলি কি মা ! কবুলি কি মা ! ন'-এই আমি চেয়ে দেখছি। হোক, আমার চোখের ওপর। ( a s )