পাতা:নরদেহ নির্ণয়.pdf/১৪০

অন্ন-পরিপাক । >N?ソ ৰিস্তুত হইয়াছে, তাহাকে পাকাশয় কহে । পাকাশয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ হস্ত হইবে, কিন্তু সকল স্থানে উহার ব্যাস-পরিমাণ সমান নহে। মুখগহ্বর, গলগুহ, অন্ননালী, আমাশয়, অন্ত্র প্রভৃতি পাকাশয়ের ভাগ-বিশেষের ভিন্নাভিধান মাত্র । মুখ-গহবর কাহাকে কহে, তাহা সকলেই অবগত আছেন । উহাতে ত্রিযুগল মাংসগ্রন্থি * অাছে, তাহাদিগকে লালাম্রবণ কহে । স্থিতি-স্থানানুসারে তাহার। ভিন্ন ভিন্ন নামে নির্দিষ্ট হইয়াছে, যথা— কার্ণন্তিক চোয়tলাধঃ ও জিহ্বাধঃ । মুখুগ-হারের পরস্থিত পাকাশয়ের ভাগকে গলগুহা কহে । গলগুহা প্রায় মুখ-গহ্বরের ন্যায় আয়ত । গলগুহা হইতে যে নলাকার প্রণালী দ্বারা অন্ন উদরে গমন করে, তাহাকে অন্ননালী কহে । অন্ননালীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ ইঞ্চ এবং অন্তঃস্থ ব্যাস এক ইঞ্চের কিছু সুrন । অন্ননালী, বক্ষঃস্থল ও উদয়-বিতানের মধ্য দিয়া গমন করিয়া উদরের কিঞ্চিৎ বামভাগে পাকাশয়ের অপেক্ষাকৃত, অধিকারত একটা ভাগে মিলিত হইয়াছে, ঐ ভাগকে আমাশয় কহে। আমাশয়, থলির আকার ধ্ৰুৰং বক্রভাবে অবস্থিত, উহা ৩৪ • অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রন্থিরাশি সদৃশ মাংসময় পদার্থকে মাংসগ্রন্থি কহে । সুতরাং মাংসগ্রস্থি বলিফুল একটা মাত্র গ্রন্থি বুঝাইবে না, বহুল গ্রন্থি সমষ্টি একটা বস্তুকে বুঝিতে হইবে ।