পাতা:নরদেহ নির্ণয়.pdf/২১৩

२ ० 8 নরদেহ নির্ণয় । দেখিতে পায় না । আলোকময় গৃহে অবস্থান কালে তাহার কনীনিক সঙ্কুচিত হইয়া থাকে ; সহসা অন্ধকারা ত স্থানে আসিলে যতক্ষণ উহ! প্রসারিত হইয়। অধিক সংখ্যক আলোক গ্রহণ না করে, ততক্ষণ কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না । অনন্তর কিছুকাল পরেই যখন তারকা প্রসারিত হইয় উঠে, তখন পুৰ্ব্বাদুষ্ট অনেক বস্তু দৃষ্টিগোচর হইতে থাকে । পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করা গিয়াছে, দর্শনেন্দ্রি য়-দ্বারা কেবল অালোক ও বর্ণের জ্ঞান জন্মে । দ্রব্যের গঠন, আকার, পরস্পর দূরত্ব ও গতি জ্ঞান স্পর্শেন্দ্রিয় ও দর্শনেন্দ্রিয় এই উভয় ইন্দ্রিয়ের চেষ্টাধীন জন্মে । কিন্তু বর্ণনুভব কত শক্তিও সহসা দর্শনেন্দ্রিয় দ্বার। জন্মে না ; উহা ও অভ্যাস-ধৰ্ম্ম-মুলক ৷ পণ্ডিতের বিবেচনা করেন, নবজাত শিশুরা চতুঃপাশ্বস্তু বস্তুর বর্ণভেদ করিতে পারে না । জন্মান্ধ ব্যক্তিরা মুক্তদৃষ্টি হইলে শীঘ্র তাহাদিগের বর্ণজ্ঞান জন্মে না । তৎকালে কি নিকটস্থ, কি দূরবর্তী, সকল বস্তুই তাহাদিগের চক্ষর সমীপৰা ৰোধ হয়, এবং তাছাদিগের অ fকার বা বর্ণজ্ঞান জন্মে না ! বর্ণান্ধতা—আমরা জগদীয় সমুদয় পদার্থ কোন না কোন বর্ণবিশুিষ্ট দেখিয়া থাকি ; স্থৰ্য্যকিরণই তাহার কারণ। স্বৰ্যকিরণ দৃশ্যতঃ শ্বেতবর্ণ হইলেও