পাতা:নলিনী-ভূষণ নাটক.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নলিনী-ভুষণ পারবে না ! এখন যে আমায় নিয়ে যেতে পারবে তার উপাসন। করি। (হস্তস্থিত করবার নিরীক্ষণ করত) তোমার যে এতদিন পূজা ক’ল্যেম, যবনশোণিতে যে তোমার চির-পিপাস দূর ক’ল্যেম, এখন স্বকার্য সাধন ক’ত্তে পারবে তো ! দেখেল—মানুষের মত কৃতঘ্ন হই ও না ! তুমিই এখন আমার স্বর্গের সোপান, মর্তের একমাত্র সখ। এস, সংসারের এই ঘোর মায়াজাল-বিপদ-জাল, তোম দ্বারায় নিরণকরণ করি । এস—দরিদ্রের বন্ধু, বিপন্নের সহায়, অনাথের নাথ, হীনবলের বল,—এস ! ( সহসা হস্ত হইতে করবার স্থলিত হওন । ) তুমি কণদচে ?—কেন মা, ভয় কি ?—কৈ ? কেউ তো নাই। আমি কি স্বপ্ন দেখচি নাকি ? ( করবার উত্তোলন করত) এখন তোমার সে পূৰ্ব্বের ন্যায় আস্ফালন নাই কেন ?—সে শোণিত পানের আনন্দ কোথায় ?—সে উল্লাস কই ?—সে উৎসাহ কই ?— সে সাহস কই ? এখন কাপুৰুষের ন্যায় কাৰ্য্য ক’চ কেন ? জীবন ! জীবন আবার কি ?—আমি । আমার মান, সভ্রম, বাসনা, উদেখ, স্বাধীনতা, যখন সব গেছে, তখন আমিই কই ?—অামার জীবনই বা কৈ ? মাতঃ বঙ্গভূমি ! আজি তোমার মধুময় নাম এপাপ মুখে এনে তোমার নামের গৌরব লাঘব ক’ল্যেম ; উদ্দেশে তোমার চরণে নমস্কার করি । মা নলিনি ! তোমার জন্তেই এতদিন এ কষ্টের জীবন, এ পাপ জীবন,এ স্বাধীনতা বিবর্জিত জীবন,এ পরের জীবন, এ ঘবন-পদসেবার জীবন রেখেছিলেম ; পাছে তোমার জীবন অবলম্বনশূন্য হয়—তাই রেখেছিলাম ; এখন তোমার অবলম্বন হয়েছে, আর কেন ? অামায় বিদায় দাও—মুক্তি দাও । আর এমৃৎপিণ্ড বইতে পারিনে ! লোকে বলে নক্ষত্রবিশেষে আত্মহত্য ক’লে প্রেতযোনি প্রাপ্ত হয়, আজি নক্ষত্রটা কি ? বঙ্গদেশে সদাই মঘ', যাত্রানাস্তি ; জীবনেও মঘী, মরণেও মঘা! আচ্ছা-মানুষ ম’লে এত নক্ষত্রের মধ্যে কোন্‌টীতে যায় ? যেটায় যাকু না কেন ? এপোড়া পৃথিবী থেকেতো নিস্তার পায়, তা হ’লেই হলে ;