পাতা:নলিনী-ভূষণ নাটক.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নলিনী-ভূষণ । 氢草 হ’লে কি আর সপ্তদশ মাত্র অশ্বারোহীতে কোটি পুত্রের জননী বঙ্গভূমি জয় ক’ত্তে পারে ? এর সকলে মিলে জন্ম-ভূমির জন্য একটা একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড় লেও যে সহস্ৰ যবন কোথায় ভস্ম হ’য়ে উড়ে যেতো । আর একটু এদের কথা শুনি ; এরা বড় জান-গৰ্ভ কথা ক’চে । নলি । ভাই, এদের কেমন ভালবাস। দেখেছ, সদাই ছুটীতে মুখে মুখ দিয়ণ ব’সে অাছে, আর কত ছাবভাব ক’চে । নীর । তোমার আর তার জন্য চিন্তা কি ?—তোমার সে সুখের দিন নিকট ; তখন কপোতকপোতীর পরিবর্তে তোমরা আবার লোকের উপমাস্থল হয়ে প’ড় বে। নলি । পৃথিবীর স্থখ আমার শেষ হয়েছে। যত দিন না মাতৃহন্তার প্রতিশোধ দি, তত দিন আমার অাহার, নিদ্রা, বিরাম, প্রভৃতি কিছুই নাই—তোমার বরং দিন আছে। নীর । অামার আর দিন আছে ? অামার দিনও নাই—রণতও নাই ; দুরপচার যবনের শোণিতে যতদিন না তপণ করি, ততদিন সংসার-সুখ আমার পক্ষে নরকতুল্য। কিন্তু তুমি য। ব’লো, ত৷ তোমার কৰ্ম্ম নয় ; তুমি বড় ঘরের মেয়ে-কোমল-প্রকৃতি, তুমি তা পারবে না। নলি । নীরদ, এখন শ্লাঘার আবশ্বক নাই ; কিন্তু ভেবে দেখ দেখি অনিলের তুল্য কোমল পদার্থ আর কি আছে এবং তাতে কোন্‌ কঠিন কৰ্ম্ম না হয় ? প্রস্তরময় ভীষণ পৰ্ব্বতশৃঙ্গ ও তায় চূর্ণ হয়ে যায়। এই নাও ; (অলঙ্কারাদি দূরে নিক্ষেপ।) দেখ, যতদিন ন। পূর্ণমনোরথ হই, ততদিন আমার এই বেশ–এই স্থখ–এই সম্পদ !—মৃত্যু হয়, তা ও সুখ, জগন্‌লেম দৈবদোষে সফল হ’লে৷ ন। মা ! যে দিন নলিনী তোমার প্রাণ হস্তার প্রতিফল দেবে, সেই দিন জেন নলিনী জীবিত আছে! নীর। ভাই ! তোমায় আমি চিনৃতে পারিনে—ক্ষমা কর । এত ঘ