পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ।

শিবচন্দ্র তৈলম্রক্ষণ করিতে বসিলেন। তাঁহার তৈলমর্দ্দন শেষ হইতে না হইতে একটি ধীবরবালক আসিয়া সংবাদ দিল, ধীবরগণ ডিঙ্গি ও জাল লইয়া পুষ্করিণীতে গিয়াছে। শিবচন্দ্র ভ্রাতাকে বলিলেন, “নবীন, তৈল মাখিয়া লও।”

 নবীনচন্দ্র উত্তর করিলেন, “আমি এখন পুষ্করিণীতে যাইব।”

 “চল, পুষ্করিণী হইয়া ঘাটে যাইবে।”

 “না। আমি মাছ ধরাইয়া বাড়ী ফিরিব। প্রভাত আসুক, এক সঙ্গে স্নান করিতে যাইব!”

 শিবচন্দ্র বুঝিলেন, আজ তাঁহাকে একান্তই একক স্নানে যাইতে হইবে; নবীনচন্দ্র ভ্রাতুষ্পুত্রের জন্য অপেক্ষা করিবেন। তিনি অগত্যা বাহির হইলেন। নবীনচন্দ্র ধীবরবালকের সঙ্গে পুষ্করিণীতে চলিলেন।

 পুষ্করিণীতে বহুদিন জাল ফেলা হয় নাই; মৎস্যকুল নিঃশঙ্ক হইয়া ছিল। জেলেরা ডিঙ্গিতে উঠিয়া জাল ফেলিতেই একটা মৎস্য জালে বাধিল। জেলেরা জাল টানিয়া তুলিল; সলিল হইতে সদ্য-উত্থিত মৎস্য জালবদ্ধ হইয়া ধড়ফড় করিতে লাগিল। সেটা তেমন বৃহৎ নহে বলিয়া নবীনচন্দ্রের আদেশে জেলেরা সেটাকে ছাড়িয়া দিয়া পুনরায় জাল ফেলিল। উত্তোলনকালে জাল গুরুভার বোধ হইতে লাগিল, জেলেরা বলাবলি করিতে লাগিল, “ভারি মাছ বাধিয়াছে।” সত্য সত্যই জালে দুইটি বৃহদাকার মৎস্য উঠিল,—একটি রোহিত, অপরটি মৃগেল। তাহারা বেগে পুচ্ছ সঞ্চালন করিতে লাগিল। নবীনচন্দ্র তীর