ভুলিয়া গেল; উদ্ভ্রান্তহৃদয়ে কবিতারস আস্বাদন করিল।তাহার আপনার হৃদয়ে যৌবনসুলভ প্রেমচাঞ্চল্য প্রবল হইয়া উঠিল। যুবকের কল্পনা প্রেমকে বেষ্টন করিয়া ফিরে।
চিত্ত সংযত করিয়া প্রভাত টীকা পাঠ করিতে চেষ্টা করিল: পড়িল বটে, কিন্তু সে পাঠ হৃদয় স্পর্শ করিল না। কয়বার চেষ্টা করিয়া শেষে সে পুস্তক রাখিয়া শয্যায় শয়ন করিয়া ভাবিতে লাগিল।
অল্পক্ষণ পরেই দ্বার হইতে সতীর্থ রমণীমোহন জিজ্ঞাসা করিল; “প্রভাত, পড়িতেছ?”
প্রভাত উত্তর দিল, “না। ভিতরে আইস।”
রমণীমোহন একখানি মাসিকপত্র হস্তে লইয়া প্রবেশ করিল; প্রভাতকে সেখানি দেখাইয়া বলিল, “আমার একটি কবিতা প্রকাশিত হইয়াছে।”
“কি কবিতা?”
“বসন্ত।”
“আমি এখনই ‘কুমারসম্ভবে’ হিমাচলে অকাল-বসন্তোদয়ের বর্ণনা পাঠ করিতেছিলাম।”
“আমার কবিতায় সে বর্ণনার ছায়া পাইবে।”
“পড়, শুনি।”
রমণীমোহন পাঠ করিতে লাগিল:
“হিম–ঋতু-অবসানে জাগিছে ধরার প্রাণে
আকুল-পুলক-দীপ্ত নবীন যৌবন;
১০৫