এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ ।
চক্রবাক প্রেমসুখে দিতেছে প্রিয়ার মুখে,—
অর্দ্ধভুক্ত, সুকোমল মৃণাল সোহাগে;
পল্লবিত শাখা-করে তরুরে হৃদয়ে ধরে’
লতাবধূ—অঙ্গে শোভে কুসুমভূষণ;
সে প্রেমপরশরাগে তরুর হৃদয়ে জাগে
সুষমাসৌরভভরা নবীন যৌবন;
নবস্ফুট হৃদি-কূলে সুপ্ত প্রেম আঁখি খুলে,
হৃদিকুঞ্জে বাজি উঠে প্রণয়-কূজন;
কুসুমকুন্তলা ধরা মিলন-মাধুরী-ভরা,
প্রেমের বাঁশরী-রবে বিকল ভুবন।
বসন্তে সরম টুটে’ মালতী, মাধবী ফুটে,
কেশরকুসুমে বসে ভ্রমরের দল,
লবঙ্গলতিকা ঘ্রাণে কি মোহ আবেশ আনে,
প্রেমপরিমলপানে পবন পাগল;
বিহগের অঙ্গে আর ধরে না লাবণ্যভার—
নবপক্ষ্মে শোভে কিবা বর্ণ সমুজ্জ্বল;
স্বচ্ছনীর সরোবরে শুভ্র হংস খেলা করে,
নীল জলে শোভে যেন শ্বেত শতদল;
সুনীল গগনতলে বলাকা ভাসিয়া চলে,
গগনে লম্বিত যেন তারকার হার;
১০৭