পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নবম পরিচ্ছেদ।

গৃহান্তরে।

নবীনচন্দ্র যাইবার কয় দিন পরে প্রভাত পিতার পূর্ব্বনির্দ্দেশমত কৃষ্ণনাথের নিকট স্বতন্ত্র বাসা করিবার প্রস্তাব করিল। কৃষ্ণনাথ রলিলেন, “এখানে তোমার কি অসুবিধা হইতেছে?”

 অসুবিধার কথা কিছু বলিতে না পারিয়া প্রভাত বলিল, “বাবার ইচ্ছা আমি স্বতন্ত্র বাসা করি।”

 কৃষ্ণনাথ জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন?”

 “তাহা কিছু বলেন নাই। তবে তাঁহারা কেহ আসিলেও অসুবিধা হয়। আর— শ্বশুরালয়ে—”

 “তাঁহারা সর্ব্বদা আসেন না। আসিলেও দুই এক দিনের অধিক থাকেন না। সে অবস্থায় বৃথা ব্যয় করিয়া বাসা করিবার প্রয়োজন কি? শ্বশুরালয়ে বাস!—কেন, তুমি ত আর ঘরবাড়ী ত্যাগ করিয়া শ্বশুরালয়ে বাস করিতেছ না। ও সব পল্লীগ্রামের কথা।—ইহাতে দোষ কি?”

 প্রভাত আর কোনও কথা কহিল না।

 কৃষ্ণনাথ পুনরায় বলিলেন, “ছাত্রাবাসে একটা ঘর রাখিয়া বৃথা ব্যয় বাড়ান অনাবশ্যক। ওটা ছাড়িয়া দাও।”

 শেষে তাহাই হইল। প্রভাত স্বতন্ত্র বাসা করা দূরে থাকুক—ছাত্রাবাসের ঘরটিও ছাড়িয়া দিল; তবে তখনও সে মনে করিল, আর কিছু দিন পরে—একটা সুযোগ বুঝিয়া পুনরায় বাসা করিবার

১৫৮