সহিস আসিয়াছিল, সে যান দ্বারেই ছিল। কৃষ্ণনাথ তাহাতে উঠিয়া বলিলেন, “হাঁকাও।” চালক একটু ইতস্ততঃ করিতেছে দেখিয়া কৃষ্ণনাথ বলিলেন, “যাহা চাহ, পাইবে।”
চালক জিজ্ঞাসা করিল, “কোথায় যাইব?”
কৃষ্ণনাথ তাঁহার সহিসকে গাড়ীতে উঠিতে আদেশ দিয়া বলিলেন, “যেখানে ঘোড়া পড়িয়াছে, সেইখানে চল।”
যান চলিল।
যান গন্তব্য স্থানে আসিয়া স্থির হইল। প্রভাত তাহা জানিতে পারিল না; সে চিন্তামগ্ন। কৃষ্ণনাথ ব্যস্ত হইয়া স্বয়ং যানের দ্বার খুলিয়া অবতরণ করিলেন। তিনি প্রভাতের অতি নিকটে আসিলেও প্রভাত জানিতে পারিল না। তাঁহার আশঙ্কা হইল, প্রভাত আহত। তিনি ভগ্নকণ্ঠে ডাকিলেন, “প্রভাত!”
পরিচিত স্বরে প্রভাত চমকিয়া উঠিল,—উঠিয়া দাঁড়াইল। সে লজ্জায় মুখ তুলিতে পারিল না।
কৃষ্ণনাথ জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার আঘাত লাগে নাই ত?”
প্রভাত বলিল, “না।”
কৃষ্ণনাথের অশান্ত হৃদয় শান্ত হইল। তিনি বলিলেন, “তুমি বাড়ী যাও নাই; আমরা কত দুর্ভাবনা করিতেছিলাম! শীঘ্র গাড়ীতে উঠ। তোমার শাশুড়ী ঠাকুরাণী কাঁদিয়া অস্থির হইতেছেন।”
কৃষ্ণনাথ সহিসকে বলিলেন, “তুমি এখানে থাক। আমি
২১৭