পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ।

স্থিত হইল। তাহাকে তিরস্কার করিলে পিসীমা’র তাহা সহিত না। গ্রামের পাঠশালার গুরুমহাশয়ের শাসনের ভয়ে তাহাকে পাঠশালায় পাঠান বন্ধ করিতে হইল। শিবচন্দ্র চিন্তিত হইলেন। তখন নবীনচন্দ্র স্বয়ং তাহার শিক্ষার ভার লইলেন—খেলার সঙ্গে শিক্ষাদান চলিতে লাগিল। প্রভাত বুদ্ধিমান ছিল; নবীনচন্দ্রের যত্নে অল্প দিনেই পাঠে উন্নতি লাভ করিতে লাগিল।

 নবীনচন্দ্র যতদিন পারিলেন, স্বয়ং তাহাকে গৃহে পড়াইলেন। পরে এক জন শিক্ষক আনাইয়া তাহার পাঠের ব্যবস্থা হইল। পরীক্ষার সময় নবীনচন্দ্র স্বয়ং তাহাকে সঙ্গে লইয়া কলিকাতায় যাইলেন; প্রভাত প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়া আসিল।

 প্রভাত যখন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইল, তখন তাহাকে পাঠার্থ কলিকাতায় প্রেরণ করাই স্থির হইল। পিসীমা বুঝিলেন, আর তাহাকে রাখিতে পারিবেন না। তিনি হৃদয়ে বিষম বেদনা পাইলেন;—শেষে বিদেশে তাহার যাহা কিছু আবশ্যক হইতে পারে, সব দিয়া তাহার বাক্স গুছাইয়া দিলেন। নবীনচন্দ্র তাহাকে কলিকাতায় ছাত্রাবাসে রাখিয়া আসিলেন। গৃহ শূন্য হইল;—পূর্ব্বেই পার্শ্ববর্ত্তী গ্রামে কমলের বিবাহ হইয়াছিল। সে শ্বশুরালয়ে ছিল।

 কলিকাতায় ছাত্রাবাসে ছাত্রগণ সাধারণতঃ মাসে যে পরিমাণ অর্থ পায়, প্রভাত তাহার অপেক্ষা অধিক অর্থ পাইত, এবং ব্যয় করিত। বিদ্যালয়ের বেতনাদি আবশ্যক ব্যয় ত সে

১৯