সেই স্থানের জনগণের চিত্তাকর্ষণ করিত। বহু দীনদুঃখী তাহার নিকট দয়া ও সাহায্য লাভ করিত, বহু লোক তাহার দ্বারা উপকৃত হইত।
শিশুদিগের আগমনে দত্তগৃহে বিষাদের ছায়া অপসৃত হইল। সে গৃহ প্রভাতের পুত্ত্রকন্যাদিগের কাকলিমুখরিত হইতে লাগিল। শিবচন্দ্রের হৃদয়ের অভিমান আশঙ্কায় দূর হইয়া গিয়াছিল। বধূর ও পৌত্ত্র দিগের আগমনে বড় বধূর মনের অন্ধকার অবশেষে দূর হইয়া গেল। শিবচন্দ্র ও বড় বধূ—উভয়েরই বৃদ্ধবয়স শিশুদিগের সাহচর্য্যে সুখময় হইতে লাগিল।
পিসীমা’র আর কাশী যাওয়া হইল না। প্রভাতের পুত্ত্রকন্যাদিগকে রাখিয়া তাঁহার আর নড়িবার উপায় নাই। তিনি নহিলে ছেলেদের চলে না। আবার ছেলেরা না হইলে তাঁহার চলে না। এখন তাঁহার অঙ্কে প্রভাতের স্থান প্রভাতের পুত্ত্রকন্যারা অধিকার করিয়াছে। তাহাদিগকে ছাড়িয়া তিনি কেমন করিয়া যাইবেন?
প্রভাত, সতীশ, শোভা, অমল ও প্রভাতের পুত্ত্রকন্যা—ইহাদিগকে লইয়া স্নেহশীল নবীনচন্দ্র সর্ব্বদা ব্যস্ত। তাঁহার আর অবসর নাই। প্রভাত ও সতীশ কোনও কার্য্য করিতে হইলে তাঁহার পরামর্শ ব্যতীত করে না। শোভারও কোনও বিষয়ে পরামর্শ লইতে হইলে সে নবীনচন্দ্রের নিকট লয়!
বিপত্নীক সতীশচন্দ্র আর বিবাহ করিল না। অমলকে ও প্রভাতের পুত্ত্রকন্যাদিগকে শিক্ষা দিয়া, এবং নানা সদনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করিয়া তাহার দিন কাটিতে লাগিল। তাহার চেষ্টায় সে
২৯৩