হরিৎ হইতে হরিদ্রায় পরিণত হইয়াছে, বা হইতেছে;—কতকগুলি পবনতাড়নে নীরস বৃন্ত হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া বাতাসে ভাসিতে ভাসিতে তরুমূলে আসিয়া পড়িতেছে। পত্ররাজি ও ভূমির তৃণাবরণ ধূলিধূসর, ম্লান। রাজপথের উপর বাতাসে ধূলি ভাসিতেছে।
শ্যামাপ্রসন্ন জিজ্ঞাসা করিলেন, “সব ভাল করিয়া জানিয়াছ ত?”
কৃষ্ণনাথ বলিলেন, “ছেলেটি বিনোদের সঙ্গে পড়িত। ছেলেটি ভাল। বাড়ীর মেয়েদের বড় ইচ্ছা।”
“মেয়েদের বিবেচনা চিরকালই সমান। কলিকাতার বাহিরে; অনেক দূর। সে সব ভাবিয়া দেখিয়াছ?”
“সে আর কি করিব, বল? বিশেষ, কলিকাতার ছেলের অপেক্ষা পল্লীগ্রামের ছেলে ভাল হয়, ধীর হয়, লেখাপড়া করে। মোটা ভাত, মোটা কাপড়ের কষ্ট নাই। বিশেষতঃ ছেলেটি কলিকাতাতেই থাকিবে, কাযেই পল্লীগ্রাম বলিয়া বিশেষ আপত্তির কারণ নাই।”
“বাড়ীর অবস্থার সন্ধান ভাল করিয়া লইও।”
“তা’ ত লইতেই হইবে।”
কৃষ্ণনাথ কি ভাবিতে লাগিলেন। গাড়ী দ্রুতবেগে পথ অতিক্রম করিতে লাগিল।
শ্যামাপ্রসন্নকে তাঁহার গৃহে পৌঁছাইয়া কৃষ্ণনাথ গৃহে আসিলেন। তখন সন্ধ্যা হয় হয়।
৪২