সহসা শিবচন্দ্রকে গোশালায় যাইতে ও উভয় ভ্রাতাকে ফিরিয়া আসিতে দেখিয়া পিসীমা রন্ধনশালা হইতে বাহিরে রোয়াকে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিরে, শিব?”
শিবচন্দ্র বিরক্তভাবে বলিলেন, “আমার মাথা আর মুণ্ড।” “এই লও, পড়” বলিয়া তিনি নবীনচন্দ্রকে পত্রখানি দিলেন। নবীনচন্দ্র পড়িলেন,—
“যথাবিহিত সম্মান পুরঃসর নিবেদন,
কিছু দিন আপনাদের সংবাদ না পাইয়া চিন্তিত আছি। কুশল সংবাদ দানে সুখী করিবেন।
আপাততঃ নিবেদন, শ্রীযুক্ত কৃষ্ণনাথ বসু মহাশয় কলিকাতার এক জন অতি প্রসিদ্ধ ব্যক্তি মুখ্য কুলীন, বিশেষ ধনী। শ্রীমান প্রভাতচন্দ্রের সহিত তাঁহার কন্যার বিবাহ দিতে সম্মত হইয়াছেন। কলিকাতায় অনেক বড়লোক তাঁহার সহিত সম্বন্ধ শ্লাঘার বিষয় বলিয়া বিবেচনা করেন। এ সম্বন্ধ আমাদের পক্ষে বিশেষ সৌভাগ্যের কথা। যাহাতে এ বিবাহ হয়; আমি তাহার জন্য বিশেষ চেষ্টা করিতেছি। আপনি সত্বর সম্মতি দান করিয়া বাধিত করিবেন।
আপনাদের আশীর্ব্বাদে আমার প্রাণগতিক কুশল।
আপনি আমার নমস্কার জানিবেন ও শ্রীযুক্তা দিদিঠাকুরাণীকে প্রণাম জানাইবেন; নিবেদন ইতি।
বশংবদ
শ্রীহরিহর ঘোষ।”
৪৮