পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ।

 শিবচন্দ্র বলিলেন, “এখন কর্ত্তব্য কি?”

 নবীনচন্দ্র বলিলেন, “হরিহর কুটুম্ব; কখনও কোনও অনুরোধ করে নাই। সহসা রূঢ় উত্তর দিবেন?”

 “তবে কি লিখি?”

 “বরং লিখুন, নবীন কলিকাতায় যাইবে; তাহাকে সকল বিষয় অবগত করাইবে। তাহার নিকট সব শুনিয়া উত্তর দিব।

 “তাহা হইলে তোমাকে যাইতে হয়।”

 “কাযেই।”

 “তবে তাহাই লিখি।”

 তখন নবীনচন্দ্র লেখনী প্রভৃতি আনিলেন। শিবচন্দ্র মুক্তার মত অক্ষরে হরিহরকে পত্র লিখিলেন:—

“পরম পোষ্টৃবরেষু,

 তোমার পত্র পাইয়া আহ্লাদিত হইলাম।

 শ্রীমান প্রভাতচন্দ্র বাবাজীর বিবাহের প্রস্তাব করিয়াছ।সে সম্বন্ধে সকল বিষয় জানিবার জন্য শ্রীমান নবীনচন্দ্র ভায়া কলিকাতায় যাইতেছেন। তিনি তোমার সহিত পরামর্শ করিয়া কর্তব্য স্থির করিবেন। তিনি বাবাজীর বাসাতেই থাকিবেন।

 এ বাটীর মঙ্গল। তোমার মঙ্গল-সংবাদ সর্ব্বদা পাইতে বাঞ্ছা করি। ইতি; সাকিন ধূলগ্রাম।

শুভাকাঙ্ক্ষী— 
শ্রীশিবচন্দ্র দত্ত।”


 পত্রখানি ডাকঘরে প্রেরিত হইল।

৫২