নবীনচন্দ্র পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুই অবশ্যই কোন দিন না কোন দিন মেয়েটিকে দেখিয়াছিস। মেয়েটি সুন্দরী?”
প্রভাত মস্তকসঞ্চালনে জানাইল—হাঁ।
নবীনচন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ বিবাহে তোর ইচ্ছা আছে। না?”
প্রভাত নতমুখে রহিল।
নবীনচন্দ্র বুঝিলেন, বলিলেন, “যাহাতে এ বিবাহ হয়, আমি তাহা করিব। তুই ভাবিস্ না।”
প্রভাত ধীরে ধীরে বলিল, “বাবার অমতে আমি এ কায করিব না।”
“তাঁহার নিকট কি তোর সুখের অপেক্ষা আর কিছু বড়? সে ভয় করিস্ না। সে ভাব আমার।”
রাত্রিকালে নবীনচন্দ্রের যখনই নিদ্রাভঙ্গ হইল, তিনি তখনই দেখিলেন, প্রভাত জাগিয়া। তিনি বুঝিলেন,রোগ কঠিন।
প্রত্যূষে উঠিয়া নবীনচন্দ্র জাগ্রত প্রভাতকে বলিলেন, “তোর সকালে উঠা অভ্যাস নাই; ঘুমা। আমি ভবানীপুরে যাইব। হরিহরের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া ফিরিব।”
ভবানীপুরে যাইয়া নবীনচন্দ্র হরিহরের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তাহার পত্র লিখিবার কারণ অবগত হইলেন, এবং তাহাকে মিষ্টালাপে আপ্যায়িত করিয়া ফিরিলেন।
এ দিকে বিনোদবিহারী প্রভাতের নিকট আসিয়া নবীনচন্দ্রের আগমনবার্ত্তা অবগত হইয়া গিয়াছিল। হরিহর পূর্ব্বদিন শিবচন্দ্রের
৫৭