পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ।

পত্রের বিষয় রমানাথকে জানাইয়াছিল; তাঁহার নিকট সংবাদ পাইয়া শ্যামাপ্রসন্ন বাবু কৃষ্ণনাথকে সে সংবাদ দিয়াছিলেন।

 নবীনচন্দ্র প্রত্যাবৃত্ত হইবার অল্পক্ষণ পরেই বিনোদবিহারী পুনরায় আসিয়া জানিয়া গেল, তিনি ফিরিয়াছেন। তাহার পরই কৃষ্ণনাথ স্বয়ং আসিয়া উপস্থিত হইলেন। কিছুক্ষণ আলাপের পর কৃষ্ণনাথ বলিলেন, “আমি কন্যাদায়গ্রস্থ, আপনার শরণাগত—আমাকে উদ্ধার করিতে হইবে।”

 নবীনচন্দ্র স্বাভাবিক বিনয়সহকারে বলিলেন, “আপনার সহিত কুটুম্বিতা ত আমাদের সৌভাগ্যের কথা। আমি যাইয়া দাদাকে সব বলিব।”

 কৃষ্ণনাথ পূর্ব্বেই বিনোদবিহারীকে দিয়া প্রভাতের নিকট সন্ধ্যায় নবীনচন্দ্রকে আহারের নিমন্ত্রণ করিবার প্রস্তাব করিয়াছিলেন। প্রভাত বলিয়াছিল, এক দিনের পরিচয়ে নিমন্ত্রণে তিনি কোনও কারণ দেখাইয়া প্রত্যাখ্যান করিবেন। তাহা শুনিয়া কৃষ্ণনাথ আর এক কৌশল করিয়াছিলেন।

 সন্ধ্যাকালে কৃষ্ণনাথ পুনরায় নবীনচন্দ্রের নিকট উপস্থিত হইলেন; সঙ্গে শ্যামাপ্রসন্ন। কৃষ্ণনাথ বলিলেন, “আমার গৃহে আজ সঙ্গীতের আয়োজন হইয়াছে। আপনাকে পদধূলি দিতে হইবে।” নবীনচন্দ্র অনুরোধ এড়াইতে পারিলেন না। তিনি যৌবনে সঙ্গীতচর্চ্চা করিয়াছিলেন; সাধনায় সিদ্ধিলাভও হইয়াছিল। মৃদঙ্গবাদনে তিনি দেশে বিশেষ খ্যাতিলাভ করিয়াছিলেন। কিন্তু পত্নীর মৃত্যুর পর তিনি আর কোনও বাদ্যযন্ত্র

৫৮