নবীনচন্দ্র উত্তর করিলেন, “প্রভাত যে ছাত্রাবাসে থাকে, তাহার সম্মুখেই কৃষ্ণনাথ বাবুর গৃহ; তাঁহার এক পুত্ত্র প্রভাতের সহপাঠী। তাঁহারা সন্ধান করিয়া হরিহরের মনিবকে ধরিয়াছিলেন; তিনি হরিহরকে দিয়া পত্র লিখাইয়াছিলেন।”
“তুমি এ সম্বন্ধ কিরূপ বিবেচনা কর?”
“আমার বোধ হয়,—মন্দ নহে।”
“এ বিষয়ে অনেক কথা আছে। দুই জনে পরামর্শ করিব।”
নবীনচন্দ্র আর কিছু বলিলেন না। তিনি জানিতেন, আর আগ্রহ প্রকাশ করিলে শিবচন্দ্রের সন্দেহ হইবে।
দেখিতে দেখিতে নবীনচন্দ্রের শ্বশুরের শ্রাদ্ধের সময় সমাগত হইল। শিবচন্দ্র গ্রামে কার্য্য করাই যুক্তিযুক্ত মনে করিয়াছিলেন। তাহাই হইল। শ্রাদ্ধের অধিকারীকে আনাইয়া শ্রাদ্ধ করান হইল।
এই শ্রাদ্ধোপলক্ষে প্রভাত গৃহে আসিল। কিন্তু বিদ্যালয়ে ছুটী না থাকায় অধিক দিন থাকিতে পারিল না। নবীনচন্দ্র পূর্ব্বেই ভগিনীকে সাবধান করিয়াছিলেন, “দিদি, প্রভাতকে বিবাহ সম্বন্ধে কোনও কথা জিজ্ঞাসা করিও না। এ বিবাহে যে তাহার ইচ্ছা আছে, সে যে মেয়ে দেখিয়াছে, আমরা যে তাহার ইচ্ছা পূর্ণ করিবার জন্যই এ বিবাহের পক্ষপাতী, দাদা যদি এ সন্দেহ করেন, তবে হয় ত তিনি বাঁকিয়া বসিবেন।”
প্রভাত চলিয়া গেল। নবীনচন্দ্র ভগিনীকে বলিলেন, “দিদি, দেখিলে ত,—ছেলের আর সে শ্রী নাই। ভাবিয়া ভাবিয়া ছেলে অমন হইয়াছে। এবার ভাল করিয়া দাদাকে বলিয়া এ বিবাহে