পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দশম পরিচ্ছেদ।

অদৃষ্টের উপহাস।

এ দিকে চার পাঁচ দিন প্রভাতের পত্র না পাইয়া ধূলগ্রামে সকলেই ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন। পিসীমা’র ও নবীনচন্দ্রের ব্যস্ততা আশঙ্কায় পরিণত হইয়া আত্মপ্রকাশ করিল। নবীনচন্দ্র প্রত্যহ অগ্রজকে জিজ্ঞাসা করিতেন, “দাদা, আজও পত্র আসিল না?” উত্তরে শিবচন্দ্র একদিন বলিলেন, “সে দেশ বেড়াইতে গিয়াছে; আমোদে আছে। আমাদিগকে পত্র লিখিবার সময় নাই।” তিনি নবীনচন্দ্রকে কৃষ্ণনাথের ও প্রভাতের পত্র দুইখানি দিলেন।

নবীনচন্দ্র পত্র দুইখানি পাঠ করিলেন; জিজ্ঞাসা করিলেন, “উত্তর দিয়াছেন?”

শিবচন্দ্র বলিলেন, “হাঁ। লিখিয়াছি, তুমি ত আর আমার কথা শুনিবে না; যাহা ইচ্ছা করিতে পার। আমি আর কিছু বলিব না।”

নবীনচন্দ্র বিস্ময়বিস্ফারিতনেত্রে জ্যেষ্ঠের মুখের দিকে চাহিলেন;—সে মুখ অন্ধকার। তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “বৈবাহিকের পত্রের উত্তর দিয়াছেন?”

শিবচন্দ্র বলিলেন, “না।”

নবীনচন্দ্র যাইবার সময় পত্র দুইখানি লইয়া যাইলেন।

৮৩