পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ ।

 নবীনচন্দ্র সেই দিনই পত্র দুইখানির উত্তর লিখিলেন। তিনি কৃষ্ণনাথকে লিখিলেন;— “আপনার পত্রে শ্রীমান নলিনবিহারীর পীড়ার সংবাদে দুঃখিত হইলাম। শ্রীমান ওখানে যাইয়া কেমন আছেন, এবং সুস্থ হইয়াছেন কি না, জানিতে ব্যগ্র আছি। আপনাদের সকলের কুশল সংবাদ দিয়া বাধিত করিবেন। বৈবাহিকা ঠাকুরাণীকে আমার নমস্কার জানাইবেন। আপনি আমার নমস্কার গ্রহণ করিবেন। আর সকলকে আমার যথাযোগ্য আশীর্ব্বাদ জানাইবেন। আমার মা’কে তাহার এই বুড়া ছেলের কথা স্মরণ করাইয়া দিবেন।”

 প্রভাতকে তিনি লিখিলেন:—

“প্রাণাধিকেষু,

 বাবা, প্রায় এক সপ্তাহ তোমার পত্র পাই নাই। তোমার পত্র পাইতে বিলম্ব ঘটিলে আমরা কিরূপ ব্যস্ত হই, তাহা কি তুমি জান না? তোমার পত্র পাইতে কখনও এমন বিলম্ব হয় না, তাই আমরা আশঙ্কিত হইয়াছি। পত্রপাঠ পত্রের উত্তর দিবে। কোনও কারণে বিলম্ব করিবে না। তোমার পত্র পাইতে বিলম্ব হইলে আমাকে দার্জ্জিলিং যাইতে হইবে। তুমি কবে ফিরিবে? তোমার ও মা’র মঙ্গল সংবাদ দিবে। ইতি

নিত্যাশীর্ব্বাদক 
শ্রীনবীনচন্দ্র দত্ত।” 

 পত্র যথাকালে প্রভাতের হস্তগত হইল। কৃষ্ণনাথও তাহাকে নবীনচন্দ্রের পত্র দেখাইলেন।

৮৪