পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ ।

 শোভা তাহার পত্র পড়িতেছে দেখিয়া প্রভাত একটু বিরক্ত হইল; বলিল, “পত্র দাও।”

 শোভা মুখ তুলিল; প্রভাতের মুখের দিকে চাহিয়া বলিল, “রাগা-রাগি কিসের?”

 প্রভাতের মুখ যেন রক্তহীন, পাণ্ডুবর্ণ হইয়া গেল। তাহার প্রথম ইচ্ছা হইল, বলে, সে কথায় শোভার আবশ্যক নাই । কিন্তু পাছে শোভা দুঃখিতা হয় বলিয়া সে কথা বলিল না; বলিল, “আমার শীঘ্র বাড়ী ফিরিবার কথা ছিল, বাড়ী না যাইয়া এখানে আসিয়াছি, তাই বাবা বোধ হয় রাগ করিয়াছেন।”

 শোভার ওষ্ঠ কুঞ্চিত হইল। সে বলিল, “কি অন্যায় হইয়াছে?”

 “বাড়ীতে আবশ্যক ছিল।” কথাটা যে সম্পূর্ণ সত্য—এমন নহে। বলিতে বাধ-বাধ ঠেকিল।

 শোভা পত্রখানা ফেলিয়া চলিয়া গেল।

 প্রভাত পত্র লইয়া বাহিরে আসিল। সমস্ত দিন মনটা কেমন চঞ্চল হইয়া রহিল।

 শোভা ভাবিল, “কি অন্যায়টা হইয়াছে? ইহাতেই রাগ? ছোট বৌদি কি সাধে বলিয়াছে,—সেই সূর্য্যমামার দেশে কেমন করিয়া ঘর করিতে যাইব?”

 প্রভাত নবীনচন্দ্রের নির্দ্দেশমত পিতাকে পত্র লিখিল। নবীনচন্দ্র সে পত্রের উত্তর দিলেন। পূর্ব্বে বহুবার এমন হইয়াছে। কিন্তু পূর্ব্বে ও এবারে কিছু প্রভেদ ছিল। তাই

৮৮