পাতা:নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অধিকার এবং প্রকাশ্যে অথবা গোপনে ধর্ম পালন, অনুশীলন ও শিক্ষাদানের মাধ্যমে তার ধর্ম অথবা বিশ্বাস প্রকাশ করার অধিকার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

১৮.২ কাউকে এমন কোন বাধ্যতার অধীন করা যাবে না যার ফলে নিজের পছন্দমত ধর্ম বা বিশ্বাস পোষণ বা গ্রহণ করার স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে।

১৮.৩ কোন ব্যক্তির ধর্ম বা বিশ্বাস প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কেবল আইনের দ্বারা নির্ধারিত এমন সব বাধা-নিষেধ আরোপ করা যেতে পারে যেগুলো জননিরাপত্তা, জনশৃংখলা, জনস্বাস্থ্য অথবা নৈতিকতা, অথবা অন্যান্যের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আবশ্যক।

১৮.৪ এ চুক্তির রাষ্ট্রপক্ষগুলো অঙ্গীকার করছে যে, এরা মাতাপিতা এবং প্রয়োজনমত আইনসঙ্গত অভিভাবকদের স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী তাদের সন্তান-সন্ততিদের জন্য ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা প্রদান নিশ্চিত করার স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে।

ধারা ১৯

১৯.১ কোনরূপ হস্তক্ষেপ ব্যতিরেকে মতামত পোষণ করার অধিকার প্রত্যেকেরই থাকবে।

১৯.২ প্রত্যেকেরই বাক-স্বাধীনতা থাকবে; সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়ে এ অধিকারের মধ্যে মৌখিক, লিখিতভাবে অথবা মুদ্রিত আকারে, শিল্পকলা অথবা স্বীয় পছন্দমত অন্য কিছুর মাধ্যমে, তথ্য ও সকল প্রকার ধ্যান-ধারণার অন্বেষণ, গ্রহণ এবং জ্ঞাত করার স্বাধীনতা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

১৯.৩ এ ধারার (২) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত অধিকারসমূহ প্রয়োগের সাথে বিশেষ কর্তব্য ও দায়িত্ব জড়িত রয়েছে। অতএব এসব অধিকারের ওপর কিছু বাধা-নিষেধ আরোপ করা যেতে পারে। তবে অনুরূপ বাধা-নিষেধসমূহ কেবল আইনের দ্বারা নির্ধারিত হবে এবং সেগুলো:

ক) অন্যের অধিকার ও সুনামের প্রতি সম্মানের জন্য;
খ) জাতীয় নিরাপত্তা অথবা জনশৃংখলা অথবা জনস্বাস্থ্য অথবা নৈতিকতার জন্য যেরূপ আবশ্যক কেবল সেরূপ হবে।

ধারা ২০

২০.১ যুদ্ধের সপক্ষে যে কোন রূপ প্রচারণা আইনের দ্বারা নিষিদ্ধ থাকবে।

২০.২ বিভেদ, শত্রুতা অথবা হিংস্রতা প্ররোচিত করে এমন কোন জাতিগত, বংশগত অথবা ধর্মগত বিদ্বেষের সপক্ষে ওকালতি করা আইনের দ্বারা নিষিদ্ধ থাকবে।

ধারা ২১

২১.১ শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারি স্বীকার করতে হবে। এ অধিকার প্রয়োগের ওপর আইনসম্মত ব্যতিক্রম ব্যতিরেকে এবং একটি গণতান্ত্রিক সমাজে

১৩