পাতা:নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৪০.৫ এ ধারার (৪) অনুচ্ছেদের অধীনে যে সমস্ত মন্তব্য করা হবে বর্তমান চুক্তির রাষ্ট্রপক্ষসমূহ সেগুলো সম্পর্কে নিজেদের মন্তব্য কমিটির নিকট পেশ করতে পারে।

ধারা ৪১

৪১.১ যদি কোন রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করে যে অন্য রাষ্ট্রপক্ষ চুক্তি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছে না, তবে শেষোক্ত রাষ্ট্রপক্ষ যেসব চিঠিপত্র প্রেরণ করবে সেগুলো গ্রহণ ও বিচার-বিবেচনা করার ক্ষমতা যে কমিটির রয়েছে তা স্বীকার করে এ ধারার অধীনে যে কোন রাষ্ট্রপক্ষ যে কোন সময় ঘোষণা দিতে পারে। যে রাষ্ট্রপক্ষ নিজের ক্ষেত্রে কমিটির অনুরূপ ক্ষমতা স্বীকার করে ঘোষণা প্রদান করেছে, কেবল সেই রাষ্ট্র কর্তৃক পেশকৃত অভিযোগ কমিটি কর্তৃক গ্রহণ বা বিবেচনা করা যেতে পারে। অনুরূপ ঘোষণা প্রদান করেনি এমন রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট কোন অভিযোগ কমিটি গ্রহণ করবে না। এ ধারার অধীনে প্রাপ্ত চিঠিপত্রসমূহ নিম্নবর্ণিত কার্যপ্রণালী অনুসারে বিবেচনা করা হবে—

ক) অন্য কোন রাষ্ট্রপক্ষ চুক্তির বিধানাবলী কার্যকরী করছে না বলে মনে হলে যে কোন রাষ্ট্রপক্ষের লিখিত পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি ঐ রাষ্ট্রপক্ষের গোচরিভূত করতে পারে। অনুরূপ পত্র প্রাপ্তির তিন মাসের মধ্যে গ্রাহকরাষ্ট্র উক্ত বিষয়টি পরিষ্কার করে একটি লিখিত ব্যাখ্যা বা বিবৃতি অভিযোগ প্রেরণকারী রাষ্ট্রকে প্রদান করবে। এই ব্যাখ্যা বা বিবৃতির মধ্যে, যে পরিমাণ সম্ভব এবং প্রাসঙ্গিক সেই পরিমাণে উক্ত বিষয় সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রণালী এবং গৃহীত অথবা বিবেচনাধীন অথবা লভ্য সকল প্রতিকার ব্যবস্থার উল্লেখ থাকবে।
খ) গ্রাহকরাষ্ট্র কর্তৃক প্রথম পত্র প্রাপ্তির ছয় মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষদ্বয়ের সন্তোষ অনুযায়ী যদি বিষয়টি নিষ্পত্তি না হয়, তবে রাষ্ট্র দ্বয়ের যে কোন একটি, কমিটি এবং অপর রাষ্ট্রটির প্রতি নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে বিষয়টি কমিটির নিকট পেশ করতে পারবে।
গ) সাধারণভাবে স্বীকৃত আন্তর্জাতিক আইনের নীতি অনুযায়ী সকল লভ্য অভ্যন্তরীণ প্রতিকার ব্যবস্থার আশ্রয় গ্রহণ করা হয়েছে এবং সেগুলো নিঃশেষিত হয়েছে সে সম্পর্ক নিশ্চিত হওয়ার পরই কেবল কমিটি এর নিকট পেশকৃত বিষয়টি বিবেচনা করবে। যেখানে এসব প্রতিকার ব্যবস্থার প্রয়োগ অযৌক্তিকভাবে দীর্ঘায়িত করা হবে সেখানে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
ঘ) এ ধারার অধীনে চিঠিপত্রসমূহ পরীক্ষা করার সময় কমিটি নিভৃত বৈঠকে মিলিত হবে।
ঙ) উপ-অনুচ্ছেদ (গ)-এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, বর্তমান চুক্তিতে স্বীকৃত মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতাসমূহের প্রতি সম্মানের ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে যাতে বিষয়টির সমাধান হয় সে উদ্দেশ্যে কমিটি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর প্রতি এর শুভ সংযোগ প্রসার করবে।
১৯