পাতা:নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ধারা ৪

৪.১ জাতির জীবনের প্রতি হুমকি প্রদান করে এমন সাধারণ জরুরি অবস্থার বিদ্যমানতা সরকারিভাবে ঘোষণা করা হলে রাষ্ট্র কর্তৃক কোন পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে, রাষ্ট্রপক্ষগুলো পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে যতটুকু অত্যাবশ্যক কেবল ততটুকু বর্তমান চুক্তির অধীনে স্ব স্ব দায়িত্বসমূহ থেকে বিচ্যুত হতে পারে; তবে অনুরূপ ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে এদের দায়িত্বের পরিপন্থী হবে না এবং এর দ্বারা কেবল জাত, বর্ণ, নারী, পুরুষ, ভাষা, ধর্ম অথবা সামাজিক উৎপত্তির ভিত্তিতে কোন ভেদাভেদ করা যাবে না।

৪.২ এই বিধানের অধীনে ৬, ৭, ৮(১), (২), ১১, ১৫, ১৬ ও ১৮ ধারা থেকে কোনরূপ বিচ্যুতি চলবে না।

৪.৩ কোন রাষ্ট্রপক্ষ যদি বিচ্যুতির অধিকার প্রয়োগ করে তবে কোন কোন বিধান থেকে এবং কি কি কারণে বিচ্যুত হয়েছে তা তৎক্ষণাৎ জাতিসংঘের মহাসচিবের মাধ্যমে চুক্তির অন্যান্য রাষ্ট্রপক্ষকে অবহিত করবে। যে তারিখে উক্ত বিচ্যুতির অবসান ঘটবে সে তারিখ সম্পর্কেও তা একই পদ্ধতিতে আর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করবে।

ধারা ৫

৫.১ এ চুক্তির কোন কিছুরই এমন কোন ব্যাখ্যা প্রদান করা যাবে না যার অর্থ এই দাঁড়ায় যে, এতে স্বীকৃত অধিকার অথবা স্বাধিকারগুলোর বিনাশসাধনের উদ্দেশ্যে অথবা বর্তমান চুক্তিতে যেরূপ বাধানিষেধের বিধান রয়েছে তা অপেক্ষা অধিক বাধানিষেধ আরোপ করার উদ্দেশ্যে কোন কাজে প্রবৃত্ত হওয়ার অথবা কোন কাজ সম্পাদন করার অধিকার কোন রাষ্ট্র, গোষ্ঠী অথবা ব্যক্তির রয়েছে।

৫.২ কোন দেশের আইন, প্রথা, নিয়ম-কানুন অথবা রীতিনীতি অনুসারে স্বীকৃত অথবা প্রচলিত মৌলিক মানবাধিকারগুলোর ওপর এ অজুহাতে বাধানিষেধ আরোপ করা কিংবা সেগুলো হ্রাস করা যাবে না যে, চুক্তি অনুরূপ অধিকার স্বীকার করে না অথবা অপেক্ষাকৃত গৌণরূপে স্বীকার করে।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ

ধারা ৬

৬.১ প্রত্যেক মানুষের বাঁচার সহজাত অধিকার রয়েছে। এ অধিকার আইনের দ্বারা রক্ষিত হবে। কোন ব্যক্তিকে খেয়াল-খুশিমত জীবন থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।

৬.২ যেসব দেশে মৃত্যুদণ্ড রহিত করা হয়নি সেসব দেশে কেবল গুরুতর অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেয়া যেতে পারে; তবে অনুরূপ মৃত্যুদণ্ড অপরাধ সংঘটনকালে বলবৎ আইন অনুসারে দিতে হবে এবং তা বর্তমান চুক্তির বিধানাবলী এবং