তো নোকালয়ে মুখ দেখাবার যো নেই। আবার চাকর দাসীও জুটেছে তেমনি। এত বেলা হ’ল,এখনো ফুলতোলা হ’ল না,গঙ্গাজল এল না,কি করে যে কি হবে তার ঠিক নেই।বউ গিয়ে অবধি ছিষ্টির সংসার আমার গলায়-ত ছাই কাজের কি ছেঙ্গালা আছে?আমি বাপু বিন্দাবনে যাব,”দেখি গোবিনজী কি অষ্টমায় পায়ে ঠাঁই দেবেন?” (ইতস্ততঃ দেখিয়া) (সুরে)
“হরি মন মজীয়ে লুকালে কোথায়!
আমি ভবে এক, দাও হে দেখা—”
হরিশ। হায় হায়! দিদি ও ক্ষেপলো!
রাম। লোকে বলে প্রাতঃসমীরণ বড় স্নিগ্ধকর।কিন্তু আমার এতে কোন স্ফূর্ত্তি হচ্ছে না কেন? প্রণয়পাশে আবদ্ধ হলে কি এই রকম হয়? কৈ কোন নাটকে কি নভেলে তো এর প্রমাণ পাইনে।তবে ওটা কিছু নয়।
রমেন্দ্র। তোমার এখানে বেড়ানর উদ্দেশ্য কি গোলাপ আর পদ্মকে লজ্জা দেবার জন্য? না মালিদের ফুলগাছে জল দেবার কষ্ট নিবারণ করবার জন্য?
রাম। কেন?
রমেন্দ্র। তোমায় দেখেই ফুল সব তাজা হয়ে উঠেছে,আর জল দেবার দরকার কি?
রাম। (স্বগতঃ) যদিও বাক্যবিন্যাস তেমন মধুর করতে