পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানা চৰ্চা একটু লম্বা। তা ছাড়া যিনি ইচ্ছা করেন তিনিই চৈতন্যচরিতামৃতে তা দেখে নিতে পারেন। আমি সংক্ষেপে এবং যতদূর সম্ভব কবিরাজ মহাশয়ের জবানিতেই, ব্যাপার কি হয়েছিল বলবার চেষ্টা করব । কারণ ঘটনাটি না জানলে, তার বিচার পাঠকদের মনে লাগবে না। ঘটনাটি অদ্ভুত হলেও যে মিথ্যা নয়, এবং একেবারে বিচার সিদ্ধ ঐতিহাসিক সত্যতাই প্ৰমাণ করবার চেষ্টা করব। সকলেই মনে রাখবেন যে ঐতিহাসিক সত্য বৈজ্ঞানিক সত্য নয় ! অতীতে যা একবার ঘটেছিল, তা পৃথিবীতে আর দু’বার ঘটে না । ইংরাজীতে যাকে বলে, historical fact, তার repetition নেই। আর যে-জাতীয় ঘটনা বার-বার ঘটে এবং ঘটতে বাধ্য- সেই জাতীয় ঘটনা নিয়েই বিজ্ঞানের কারবার। সুতরাং ইতিহাসের ক্ষেত্রে আমরা যাকে প্ৰমাণ বলি, তা অনুমান মাত্ৰ । মহাপ্ৰভু বৃন্দাবন অঞ্চলে তীর্থভ্ৰমণ ক’রে দেশে যখন প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করছিলেন, তখন একদিন পথশ্ৰান্তি দূর করবার জন্য একটি বৃক্ষতলে আশ্রয় নেন। তার সঙ্গী ছিল তিনটি বাঙালী শিষ্য। আর দুটি হিন্দুস্থানী ভক্ত ; একজন রাজপুত, অপরটি মাথুর ব্ৰাহ্মণ। এ দুই ব্যক্তিকেই তিনি মথুরাতে সংগ্ৰহ করেছিলেন। তিনি গাছতলায় বসে আছেন . Պձ{ՇI ծiձIՀI “আচম্বিতে এক গোপ বংশী বাজাইল । শুনিতেই মহাপ্রভুর প্ৰেমাবেশ হইল। অচেতন হঞা প্ৰভু ভূমিতে পড়িলা । মুখে ফেন পড়ে, নাসায় শ্বাসরুদ্ধ হৈলা ।