পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠান-বৈষ্ণব রাজকুমার বিজুলী খাঁ SSG কৃষ্ণ বলি সেই পড়ে মহাপ্রভুর পায়। প্ৰভু শ্ৰীচরণ দিল তাহার মাথায় ৷” এই হচ্ছে পূৰ্ব্বোক্ত ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ। পীর ও প্রভুর শাস্ত্ৰবিচারের পরিচয় পরে দেব ; কারণ সে-বিচার অতি বিস্ময়জনক। তারপর কি কারণে রাজকুমার বিজুলী খানকে ঐতিহাসিক ব্যক্তি মনে করি তা বলব। প্ৰথমে এরকম ঘটনা ঘটা যে সম্ভব, তাই দেখাবার জন্য দেশ-কালের কিঞ্চিৎ পরিচয় দেওয়া আবশ্যক । R শীল মহাশয় অনুমান করেন যে, মহা প্ৰভু যখন বৃন্দাবন অঞ্চলে তীর্থ ভ্ৰমণে যান, তখন সিকন্দর লোদি দিল্লীর পাতাশা, এবং আগ্রা ছিল তার রাজধানী। ১৫১৭ খৃষ্টাব্দে সিকন্দর লোদির মৃত্যু হয়। সুতরাং চৈতন্যচরিতামৃতের উল্লিখিত ঘটনা সম্ভবতঃ ১৫১৬ খৃষ্টাব্দে ঘটে । আমার বিশ্বাস, এ অনুমান সঙ্গত । কবিরাজ গোস্বামীর কথা মেনে নিলেও ঐ তারিখই পাওয়া যায় । তিনি বলেছেন যে মহাপ্ৰভুর “মধ্যলীলার করিল। এই দিগদরশন। ছয় বৎসর কৈলে যৈছে গমনাগমন ৷ শেষ অষ্টাদশ বৎসর নীলাচলে বাস । ভক্তগণ সঙ্গে করে কীৰ্ত্তন উল্লাস ৷” -চৈতন্যচরিতামৃত, ২৫ পরিচ্ছেদ, ১৮৫ শ্লোক । এখন ঐতিহাসিকদের মতে চৈতন্যদেব চব্বিশ বৎসর বয়সে ১৫০৯ খৃষ্টাব্দে সন্ন্যাস গ্ৰহণ করেন, এবং তার কিছুদিন পরেই তীর্থ-পৰ্য্যটনে