পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮২

-ર 8e নানা চৰ্চা করেছিল শুধু তাকে প্রকৃষ্টরূপে জানিবার জন্য। এ শাস্ত্রের প্রথম সূত্র হচ্ছে “অথাতো প্ৰকৃতিজিজ্ঞাসা”। জ্ঞানই তাদের মুখ্য বস্তু ছিল, কৰ্ম্ম তার ফল মাত্র। বিজ্ঞানের আচাৰ্য্যের কৰ্ম্ম সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন ছিলেন, এবং তা ছিলেন বলেই এ বিদ্যা তারা আয়ত্ত করতে পেরেছেন। কথা সত্য এবং আমার বিশ্বাস, অধ্যাপক মহাশয় যদি ফলনিরপেক্ষ হয়ে যুরোপসভ্যতা বস্তু কি জিজ্ঞাসা করতেন, তা হ’লে তিনিও তার সন্ধান | CONSa げ তিনি বলেন যে, এই সুত্ৰেই আমরা যুরোপীয় আত্মার বিশেষত্বের সন্ধান পাই । য়ুরোপীয় আত্মার ধৰ্ম্মই এই )R--س‘‘to organise everybhing with which it has to deal, to mould everything whether it be material or spiritual, in such a way that it constitutes a unity in multiplicity ' 'Saits 42C3 at 'cs দেখবার এবং বহুকে এক সুত্রে গাথবার শক্তি। এক কথায়, ভৌতিক ও আধ্যাত্মিক জগৎকে organise করবার প্রবৃত্তি ও শক্তিই হচ্ছে য়ুরোপীয় আত্মার বিশেষত্ব। Kepler আবিষ্কার করেছিলেন যে, “wherever there was matter, there was geometry Oists Galileo stri' is 3 (Sri Gr, “the book of nature is written in the language of mathematics ” SAKR (A sö কথাই হচ্ছে বর্তমান বিজ্ঞানের মূলমন্ত্র। এবং এই মন্ত্রের সাধনা করেই যুরোপ জড় প্রকৃতির উপর একচ্ছত্র আধিপত্য লাভ করেছে।